সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক সমর্থকদের হামলা লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় এজাহারভুক্ত আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম ইশাদ মিয়া (৪৫)। তিনি শাল্লা থানার হবিবপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শাহীদ আলীর ছেলে। ইশাদ মিয়া মামলার ৪০ নাম্বার আসামি।
শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে শাল্লা থানার পুলিশ ইশাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম। নোয়াগাঁও গ্রামের হামলার ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত ইশাদ মিয়াসহ মোট ৩৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ই মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বি অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করেছে। এই ঘটনায় ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়। শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম বাদী হয়ে ১৫০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন।
নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০০ জন আসামি করে অন্য মামলাটি করেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। দুইটি মামলায় ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত ৩৮ আসামির মধ্যে ২৯ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এদিকে ২২শে মার্চ ঝুমনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে। অন্যদিকে গত ১লা এপ্রিল সেই অভিযুক্ত ঝুমনের মা নিভা রানী দাস বাদী হয়ে ৭২ জনকে আসামি করে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাল্লা জোনের বিচারক শ্যাম কান্ত সিনহা’র আদালতে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।