মৌলভীবাজারের জুড়ীতে একটি ব্রিজের অভাবে জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পারাপার হয় দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। ইউনিয়নগুলো হলো- জায়ফরনগর ও পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন। জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী জুড়ী নদীর ওপর ওই বাঁশের সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। প্রতিবছর এলাকাবাসী চাঁদা তুলে এই সাঁকোটি মেরামত করে চলাচল করেন। যুগের পর যুগ সাঁকোটি নিয়ে এলাকাবাসীর ভোগান্তি হলেও দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিটি স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচন এলেই ভুক্তভোগী বাসিন্দারা ব্রিজের আশ্বাস পায় কিন্তু বাস্তবে আজও তা স্বপ্ন। শুক্রবার দুপুরে সরজমিন সাঁকোটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, নড়বড়ে সাঁকোটি মেরামত করছেন কয়েকজন শ্রমিক। জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন, এলাকাবাসী চাঁদা তুলে এই সাঁকোটি তৈরি করছেন।
আমরা কয়েকজন শ্রমিক ৪-৫ দিন থেকে এই সাঁকোটির নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছি। স্থানীয় বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী হাজী জহিরুল ইসলাম ও নয়াগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বহু সরকার আসলেও জুড়ী নদীর ওপর ওই সাঁকোর স্থানে অদ্যাবধি একটি ব্রিজ নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্রতিনিয়ত এ সাঁকো দিয়ে শত শত লোক পারাপারের কারণে বর্তমানে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ফলে, যেকোনো সময় এটি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জমির আলী বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এভাবেই বাঁশ দিয়ে তৈরি সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছেন লোকজন। এ সাঁকো দিয়ে অত্রাঞ্চলের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা মৃত্যুর ঝুঁঁকি নিয়ে পড়ালেখা করতে যায়। ফলে, সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন থাকেন। বিশেষ করে হাকালুকি হাওরের শত শত কৃষকের যাতায়াতের রাস্তা এটি।