লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে কোভিট-১৯ টেস্টের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে গতকাল সকালে সরজমিন হাসপাতাল কমপ্লেক্সে গেলে দেখা যায়, করোনা টেস্টের বুথের কাজে নিয়োজিত হাসপাতালে কর্মরত সহকারী কম্পিউটার অপারেটর তুহিন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী ইউছুফ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের জন্য আগত রোগীদের কাছ থেকে ১০০ টাকার স্থলে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করছেন ওই দুই কর্মী। গতকাল দুপুরে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ৩০-৪০ জন করোনা টেস্টের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে দিলেও তাদের দেয়া হচ্ছে ১০০ টাকার সিøপ। হাসপাতালে টেস্ট করাতে আসা রোগী আ. রহিম, মো. ওসমান, সোনিয়া আক্তারসহ অনেকেই জানান, তুহিন ও ইউসুফ আমাদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা নিয়ে ১০০ টাকার সিøøপ দিয়েছেন। বাকি টাকা ওদের খরচের জন্য নিয়েছে।
অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে কম্পিউটার অপারেটর মো. তুহিন জানান, মো. ইউসুফ এখানে ঠিকাদারের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে। তাই তাকে পুষিয়ে দেয়ার জন্য রোগীদের কাছ থেকে কিছু অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এটা ঊর্ধ্বতন স্যারেরা জানেন।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুণময় পোদ্দার বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো, সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’