নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামে ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার এলাকায় গণমিটিং হওয়ার কথা থাকলেও এলাকাবাসী ধর্ষণের বিষয়ে সালিশ করতে রাজি হননি। এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিছালী ফাঁড়ি পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় কালিনগর গ্রামের ফাহাদ নামে একজনকে আটক করেছে। ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার রাতে তাকে ও তার স্বামীকে ফোন করে কালিনগর গ্রামের ইটভাটায় ডেকে নিয়ে যায় আগদিয়া গ্রামের মশিয়ার শেখ (৩৫), লিটু শেখ (৩৪) ও আনিচ বিশ্বাস। এরপর সেখানে উপস্থিত হয় বিছালী গ্রামের ইকবাল মোল্যা (৩৭), নজরুল মোল্যা (৩৪) ও সোহেল মোল্যা (৩৫)। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে ওই ৬ যুবক অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে মহিলা মেম্বার ও তার স্বামীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টর্চলাইট কেড়ে নেয়। এরপর তারা তাদের নিকট ৩০ হাজার টাকা দাবি করে বলেন, তাদের ছেলে মামুন ধর্ষণে জড়িত, তাই তাদের ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। অন্যথায় তাদেরকে দেখে নেয়া হবে।
তারা ওই টাকার জন্য জবরদস্তি করতে থাকে। এ সময় তারা জানায়, কিছুদিন তাদের ছেলে একই গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক সূত্রে দৈহিক মেলামেশা করে। রাতে তাদের দৈহিক মেলামেশার সময় টর্চ লাইট দিয়ে তাদের ছেলে (২৮) ও তাদের প্রতিবেশী ফাহাদ (২৫) ভিডিও করে। এ কারণে তাদের টাকা দিতে হবে। মারমুখী আচরণে ভীত হয়ে একদিনের সময় নিয়ে পরদিন তাদেরকে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এদিকে ধর্ষণ হয়েছে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিছালী পুলিশ ফাঁড়ির টুআইসি রতন পাল সেখানে হানা দিয়ে মহিলা মেম্বারের নিকট হতে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ নেন। নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।