সিএনজি (অটোরিকশা) চাপায় কুকুর মারা যাওয়ার জের ধরে হবিগঞ্জের মাধবপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে উপজেলার ঘিলাতলী ও মিঠাপুুকুর গ্রামবাসীর মধ্যে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ ও থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানায়, মিঠাপুকুর গ্রামের জনৈক অটোরিকশাচালক ঘিলাতলী রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় বাজারের কাছে একটি কুকুরকে চাপা দিলে কুকুরটি মারা যায়। এ নিয়ে ঘিলাতলী গ্রামের সুরুজ আলী ও মিঠাপুকুর গ্রামের অটোচালক কাওছারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে উভয়গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সালিশ-বৈঠকের দিন নির্ধারণের কথা ছিল। কিন্তু ওইদিনই দুই গ্রামবাসীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
এর জের ধরে গতকাল সকালে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। এর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন মাতু মিয়া, বাবুল মিয়া, জসিম, মোহন, আলী আজগর, কাওছার, আলাল মিয়া, ফেরদৌস, মিলু মিয়া, আবুল মিয়া, সুহেল মিয়া, ফয়সল, মিলন, আবদুল হক, ইদন, মাসুদ, রাজু, নুরুল, খালেক, তৌহিদ, আশিকুর, হেলাল, ইলিয়াস, আবদুল, আল মিয়া, রেনু মিয়া, মহিউদ্দিন, আনারুল, শাহিন, ফরিদ, ফয়েজ। মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।