জম্মু-কাশ্মীরে অবস্থানকারী একদল বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের বিরুদ্ধে আনীত মামলা প্রত্যাহার করবে জম্মু সরকার। এর মধ্য দিয়ে তাদেরকে ফেরত পাঠানোর পথ তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে উভয় দেশের সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে বলে এ খবর দিয়েছে তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। স্থানীয় খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে আনাদোলু। এতে বলা হয়, ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা জম্মু-কাশ্মীর সরকার এসব মামলা প্রত্যাহার করে তাদেরকে ফেরত পাঠাবে। তবে এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি ও কতজন রোহিঙ্গা রয়েছেন তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে ভারতের জম্মুতে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী। ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত এডভোকেট জেনারেল অসীম সাহনি আনাদোলুকে বলেছেন, এই গ্রুপের ব্যক্তিদের ‘অরিজিন’ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারে ভারত শাসিত কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভাগ।
এ নিয়ে ওই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে আনাদোলু। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। সাহনিকে উদ্ধৃত করে কাশ্মীর নিউজ অবজার্ভার জানিয়েছে, প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন আইনে অথবা ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে কাউকে যদি আটক রাখা হয় তাহলে তাকে তার দেশে ফেরত পাঠাতে হলে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। তাই রাজ্যের প্রসিকিউটররা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করবেন। এরপর তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে। সাহনি আরো বলেছেন, এসব মানুষকে ফেরত পাঠানো নিয়ে আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করেছে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার। গত মাসে জম্মু-কাশ্মীর সরকার প্রায় ১৫০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করে কাটুয়া জেলে রাখে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা আনাদোলুকে বলেছেন, ওই সময় অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের পর শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ হানিফ বলেছেন, উদ্ভূত ঘটনায় রোহিঙ্গা সম্প্রদায় হতাশাগ্রস্ত। তার মতে, জম্মুতে ৩৯টি শিবিরে অবস্থান করছেন কমপক্ষে ৬ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী।