× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এবিসি’র খবর /ভাষাগত কারণে কুইন্সল্যান্ডে ভুগছেন বাংলাদেশি সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ১২, ২০২১, সোমবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

ভাষাগত কারণে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে নানাবিধ সমস্যায় ভুগছেন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ। তারা উল্লেখযোগ্যভাবে অনগ্রসর। বিশেষ করে সংস্কৃতি এবং ইংরেজি ভাষার দিক দিয়ে তাদের রয়েছে পশ্চাৎপদতা। এ শ্রেণির মানুষদের চিহ্নিত করা হয় কালচারালি অ্যান্ড লিঙ্গুইস্টিক্যালি ডাইভার্স পিপল বা সিএএলডি পিপল হিসেবে। অস্ট্রেলিয়ার অনলাইন এবিসি নিউজ এমনই চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি অভিবাসী শেলী নাহার অন্যতম। বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা পাওয়ার জন্য তাকে নির্ভর করতে হয় স্বামীর ওপর। কারণ, তিনি ভাল ইংরেজি বলতে পারেন না।
তিন বছর আগে তিনি যখন কুইন্সল্যান্ডের রকহ্যাম্পটনে যান তখনও তিনি ইংরেজিতে কথা বলা শিখছিলেন। নতুন এক রিপোর্টে বলা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী সিএএলডি জনগোষ্ঠী রয়েছে প্রতিরোধযোগ্য রোগ, জটিলতায় ভোগার উচ্চ ঝুঁকিতে। এর ফলে প্রয়োজনের সময় তারা হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন না। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুহার। ব্রেকিং দ্য ব্যারিয়ার্স অব হেলথ কমিউনিকেশনের শীর্ষ গবেষক বলেন, রিসোর্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সিএএলডি জনগোষ্ঠী। তারা এ বিষয়ে একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে গবেষণা করেছে এবং তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্টের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মিসেস শেলী নাহার বলেন, যখনই আমি কোনো সমস্যা মনে করি, তখনই প্রথমে আমার স্বামীর সহায়তা চাই। তারপর পরিবারের অন্যদের বা বন্ধুবান্ধবদের কাছে সমস্যার সমাধান চাই। আবার কখনো ইন্টারনেটে সার্স করে তথ্য বের করি। যেসব দেশের মানুষ ইংরেজি ব্যাকগ্রাউন্টের নন, অথবা ইংরেজিতে কথা বলেন না, এমন দেশে জন্মগ্রহণকারী মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় শতকরা ১০ ভাগ। সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড মাল্টিকালচারাল এসোসিয়েশন (সিকিউএমএ) পাইলট প্রকল্প ব্রেকিং দ্য ব্যারিয়ার্স অব হেলথ কমিউনিকেশন দেখতে পেয়েছে সিএএলডি জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে ভোগেন ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার অভাবে। নেপালের দেব শ্রেষ্ঠা বলেন, তার ছেলে ইভান জন্মের পর মুহূর্তটা ছিল অত্যন্ত ভয়ের। আমি তখন সবেমাত্র মা হয়েছি। এ জন্য বাচ্চাকে নিয়ে বেশ কিছু উদ্বেগ ছিল আমার। অনেক ইস্যুতে বুঝতে পারছিলাম না কি করতে হবে। তাই এ জন্য আমার মেডিকেল বন্ধুদের কাছ থেকে টিপস নিয়েছি। রকহ্যাম্পটনে বসবাসকারী দেব শ্রেষ্ঠা বলেন, কিভাবে জরুরি বিভাগে যেতে হবে, কিভাবে জিপি অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে হবে তা নিয়ে তাদের কাছ থেকে টিপস নিতে হয়েছে। কারণ, আমার ছেলেটি জন্ম নেয়ার পর তার এজমা সমস্যা দেখা দেয়। ফলে আমার কাছে মনে হলো যে, মূল শহরে বসবাস না করে একটি অঞ্চলে বসবাস করায় বেশ অসুবিধা আছে। দেব শ্রেষ্ঠা বলেন, আস্তে আস্তে তার মধ্যে ইংরেজিতে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। তিনি সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন। তবে বলেন, ইংরেজিভাষী নন এমন মানুষরা কিভাবে লড়াই করছেন তিনি তা দেখতে পেয়েছেন। দেব শ্রেষ্ঠা বলেন, আমি দেখেছি বহু মানুষের অন্যের সহায়তা প্রয়োজন শুধু তার সমস্যাটি বোঝানোর জন্য। কারণ, চিকিৎসকরা যে ইংরেজি ভাষায় কথা বলেন তারা তার পুরোটা বুঝতে পারেন না।
পাইলট প্রকল্পটির অন্যতম নীতা ফেরদৌস অস্ট্রেলিয়ায় সিএএলডি জনগোষ্ঠীর ওপর তার মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। এই কমিশনের সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্টের কাছে, যাতে সমস্যার সমাধান করা হয়। নীতা বলেছেন, আমরা দেখতে পেয়েছি এই জনগোষ্ঠী সব রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসমস্যা সমাধানের তাগাদা দেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর