× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কমলনগরে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম

বাংলারজমিন

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
১৩ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণের সময় দুই মাসের ৮০ কেজির স্থলে ৬৫ থেকে ৭০ কেজি করে চাল দেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও হোল্ডিং ট্যাক্সের নামে জেলে প্রতি ১২০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আমিন রাজু উপস্থিত থেকে এ চাল বিতরণ করছেন। জানা যায়, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের ষাটনল থেকে রামগতি উপজেলার ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ রক্ষার্থে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ সময় নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। দুই মাস অভিযান চলাকালে জেলেদের খাদ্য সহায়তার জন্য সরকার জেলে প্রতি বিনামূল্যে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। গতকাল সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিয়নে এক হাজার ৩১২ জন জেলেকে জনপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও হোল্ডিং ট্যাক্সের নামে ১০০ টাকা অন্য খরচ বলে ২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।  পাটারিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সুবিদাভোগী সালেহ আহমেদ জানান, বালতি করে চাল মেপে দেয়া হয়েছে। কত কেজি পেয়েছি আমি জানি না। তবে আপনারা মেপে দেখেন। তার বক্তব্যের পর ওই চাল মেপে দেখলে ৭০ কেজি পাওয়া যায়। অন্যান্য সুবিধাভোগীরা জানান, সকালে ট্যাগ অফিসার ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ৪-৫ জন জেলেকে ৮০ কেজি করে দেয়া হয়। তারা চলে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে ৬০-৬৫ কেজি করে দিচ্ছেন। পাটারিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য বশির আহম্মদ জানান, চাল কিছুটা কম হতে পারে। কত কেজি কম হতে পারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন “আমরা বিভিন্ন সমস্যায় আছি তাই ৭০ কেজি করে দিচ্ছি।” পাটারিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আমিন রাজু জানান, গুদাম থেকে চাল কম দেয়া হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কম দিচ্ছি। তবে খাদ্য গুদামের (ওসি এল এসডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেকুল ইসলাম জানান, বস্তা প্রতি সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম কম হতে পারে। কোনো ক্রমেই ১০ কেজি নয়। ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ জানান, তিনি জরুরি প্রয়োজনে উপজেলায় এসেছেন। তিনি থাকাকালীন কোনো চাল কম দেয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, জেলেদের খাদ্য সহায়তার দুই মাসের চাল ৮০ কেজিই দিতে হবে। এক কেজি চালও কম দেয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর