× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাগুরায় হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে ফেলে গেল স্বামী

বাংলারজমিন

মাগুরা প্রতিনিধি
১৩ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার

মাগুরা সদরের আমুড়িয়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূর দুই হাত ও এক পা ভেঙে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে গেছে পাষণ্ড স্বামী আমির হোসেন। এ ছাড়া ওই নারীর পুরো শরীরে মারপিট করে অসংখ্য জায়গায় মারাত্মক জখম করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে এ ঘটনা ঘটলেও ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি স্মৃতি বেগম (৩৫) নামে ওই নারী। গতকাল সংবাদ পেয়ে মাগুরা জেলা মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দ ও জেলা ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেলের কর্মকর্তাবৃন্দ হাসপাতাল পরিদর্শন করলে এ ঘটনা প্রকাশ পায়।
নির্যাতিত স্মৃতি বেগমের বাবা শেখ মশিয়ার রহমান জানান, সতের বছর আগে মাগুরা সদরের আমুড়িয়া গ্রামের ফুল মিয়া মোল্যার ছেলে আমির হোসেনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি জামাইকে বিভিন্ন সময় একাধিকবার যৌতুকের টাকা ও মালামাল দিয়েছেন। ৫ বছর আগে নিজ বাড়ির জমি বন্ধক রেখে জামাইকে ওমান পাঠিয়েছেন। গত জানুয়ারি মাসে বিদেশ থেকে ফিরে এসে জামাই আবার টাকা দাবি করে। এ অবস্থায় প্রায়ই মেয়ের সঙ্গে আবারো নানা রকম নির্যাতন করে।
এতে জামাই আমিরকে উৎসাহ দেয় তার বাবা ফুল মিয়া ও মা খাদিজা বেগম। ঘটনার দিনে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জামাই আমির হোসেন লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে স্মৃতি বেগমের দুই হাত ও একটি পা ভেঙে দেয়।
এ ব্যাপারে স্বামী আমির হোসেন জানান, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা চাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ঝগড়া মারামারির পর্যায়ে পৌঁছলে এক পর্যায়ে স্মৃতি বেগমের হাত-পা ভেঙে গেছে।
এ ব্যাপারে মাগুরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, নারী নির্যাতনের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ভিকটিম নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর