বিশ্বজমিন
ধর্মীয় ইস্যুতে পাকিস্তানে ডানপন্থি নেতা গ্রেপ্তার, দেশজুড়ে বিক্ষোভে নিহত ৩
মানবজমিন ডেস্ক
২০২১-০৪-১৩
ধর্ম অবমাননার ইস্যুকে কেন্দ্র করে ডানপন্থি রাজনৈতিক দল তেহরিকে লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) নেতা সাদ রিজভিকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তান পুলিশ। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহর করাচি, পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোর, রাজধানী ইসলামাবাদ ও বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হলে পুলিশ মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে লাহোর এবং অন্যান্য স্থানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিকে। এর আগে সোমবার লাহোর থেকে পুলিশ টিএলপি নেতা সাদ রিজভিকে গ্রেপ্তার করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ কথা নিশ্চিত করেন দলের সিনিয়র নেতা সৈয়দ জহিরুল হাসান শাহ। তবে সাদ রিজভির বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
হাসান শাহ অভিযোগ করেছেন, ফ্রান্সের প্রেডিসডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন সম্প্রতি ধর্ম অবমাননা করার পর আরও বিক্ষোভ বন্ধ করা নিয়ে সরকারের সঙ্গে টিএলপির একটি চুক্তি হয় ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু সরকার সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ইসলামভীতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের মন্তব্যের পর গত নভেম্বরে ইসলামাবাদের বড় বড় মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে সেখানে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে টিএলপি। ওই সময় তাদের সঙ্গে সরকার একটি চুক্তি করে। এতে সরকার তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইসলামাবাদে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূততে বহিষ্কার করার বিষয় বিবেচনা করা হবে। পাকিস্তানে সব ফরাসি পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। বিক্ষোভকালে টিএলপির যেসব বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা নিশ্চিত করতে হবে। এসব শর্তের ওপর চুক্তি হয়। ফ্রেব্রুয়ারিতে সরকারের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে টিএলপি। কারণ, তারা আগের চুক্তি কার্যকর না হওয়ায় আরো প্রতিবাদ বিক্ষোভের হুমকি দিয়েছিল। নতুন চুক্তিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও অন্যান্য বিষয় ২০ শে এপ্রিলের আগেই পার্লামেন্টে বিতর্কে তোলার কথা বলা হয়েছে।
ওদিকে নভেম্বরে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় টিএলপির প্রধান ও সাদ রিজভির পিতা খাদিম হোসেন রিজভির। এরপর তার পদে আসীন হন তার ছেলে। নতুন চুক্তিতে ২০ শে এপ্রিল সর্বশেষ সময়সীমা যখন এগিয়ে আসছে তার আগেই সরকার তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময়সীমার মধ্যে এখনও সরকার প্রতিশ্রুত ইস্যুগুলো পার্লামেন্টে উত্থাপন করেনি। টিএলপির সিনিয়র নেতা হাসান শাহ বলেন, টিএলপির সঙ্গে যে চুক্তি করেছে সরকার, তারাই তা ভঙ্গ করেছে। শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে সরকার নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তাই আমি দলীয় সব নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, আপনারা যেখানেই থাকুন বেরিয়ে আসুন। রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করুন। আপনারা যেখানেই থাকুন, সেখান থেকেই এই বিক্ষোভে যোগ দিন।
হাসান শাহ অভিযোগ করেছেন, ফ্রান্সের প্রেডিসডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন সম্প্রতি ধর্ম অবমাননা করার পর আরও বিক্ষোভ বন্ধ করা নিয়ে সরকারের সঙ্গে টিএলপির একটি চুক্তি হয় ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু সরকার সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ইসলামভীতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের মন্তব্যের পর গত নভেম্বরে ইসলামাবাদের বড় বড় মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে সেখানে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে টিএলপি। ওই সময় তাদের সঙ্গে সরকার একটি চুক্তি করে। এতে সরকার তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইসলামাবাদে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূততে বহিষ্কার করার বিষয় বিবেচনা করা হবে। পাকিস্তানে সব ফরাসি পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। বিক্ষোভকালে টিএলপির যেসব বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা নিশ্চিত করতে হবে। এসব শর্তের ওপর চুক্তি হয়। ফ্রেব্রুয়ারিতে সরকারের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে টিএলপি। কারণ, তারা আগের চুক্তি কার্যকর না হওয়ায় আরো প্রতিবাদ বিক্ষোভের হুমকি দিয়েছিল। নতুন চুক্তিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও অন্যান্য বিষয় ২০ শে এপ্রিলের আগেই পার্লামেন্টে বিতর্কে তোলার কথা বলা হয়েছে।
ওদিকে নভেম্বরে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় টিএলপির প্রধান ও সাদ রিজভির পিতা খাদিম হোসেন রিজভির। এরপর তার পদে আসীন হন তার ছেলে। নতুন চুক্তিতে ২০ শে এপ্রিল সর্বশেষ সময়সীমা যখন এগিয়ে আসছে তার আগেই সরকার তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময়সীমার মধ্যে এখনও সরকার প্রতিশ্রুত ইস্যুগুলো পার্লামেন্টে উত্থাপন করেনি। টিএলপির সিনিয়র নেতা হাসান শাহ বলেন, টিএলপির সঙ্গে যে চুক্তি করেছে সরকার, তারাই তা ভঙ্গ করেছে। শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে সরকার নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তাই আমি দলীয় সব নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, আপনারা যেখানেই থাকুন বেরিয়ে আসুন। রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করুন। আপনারা যেখানেই থাকুন, সেখান থেকেই এই বিক্ষোভে যোগ দিন।