× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একের পর এক মৃত্যুতে আইনাঙ্গনে শোকের ছায়া

অনলাইন

সোলায়মান তুষার
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ১৩, ২০২১, মঙ্গলবার, ৪:৫৮ অপরাহ্ন

করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাসে আইনাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। একের পর এক বিয়োগাত্মক ঘটনায় আইনজীবী ও তাদের পরিবারে নেমে এসেছে দুঃখের কালো ছায়া। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ভাষায় "এ মোর সুন্দরী পুরী! কিন্তু একে একে শুখাইছে ফুল এবে, নিবিছে দেউটি"। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ই মার্চ। এরপর ২০২০ সালের ১৮ই মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দেশে। করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাসে দেশের খ্যাতনামা আইনজীবী ও দেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকসহ কয়েক শতাধিক আইনজীবী এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। রয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও।
এছাড়া নিম্ন আদালতের আইনজীবী ও অসংখ্য শিক্ষানবিশ আইনজীবী এসময়ের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন করোনাক্রান্ত বা অন্যান্য কারণে।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেত্রী  বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ  হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে আলোচিত ছিলেন। নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডেও নিজে যুক্ত রেখেছিলেন ব্যারিস্টার রফিক। ২০২০ সালের ২৪ শে অক্টোবর ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সবাইকে কাদিয়ে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। দায়িত্বপালন অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন অ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম। গত বছরের ২৭ শে সেপ্টেম্বর তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।  তিনি বাংলাদেশের ১৩তম অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। গত ১৬ই মার্চ ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরপাড়ে পাড়ি জমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ইহলোক ত্যাগ করেন প্রতিযশা আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ । এপ্রিলের শুরুতে করোনাক্রান্ত হয়ে মারা যান সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর পারভেজ।

করোনাভাইরাসে ২০২০ সালে কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। করোনাক্রান্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) প্রায় দেড় শতাধিক আইনজীবী মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া নিম্ন আদালতের কয়েক শতাধিক আইনজীবী মারা যান বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও বিভিন্ন বার এসোসিয়েশন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত  হয়ে  ও অন্যান কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, আইনজীবী আহমেদ আলী, সাবেক এমপি ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, আলী হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী এ বি এম নুরুল ইসলাম, সাবেক এমপি মো. রহমত আলী, আবুল কালাম মো. শহিদুল্লাহ, মো. আমিরুল ইসলাম ও গোলাম মোর্শেদ, মোহাম্মদ ইসমাইল, বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী মো. সানা উল্লা মিয়া, দেলোয়ার হোসেন সরকার, মো. আব্দুর রহিম খান , সৈয়দ আব্দুস সালাম,  জিয়াউর রহমান, মুজিবুর রহমান মিয়া, সেখ মনিরুজ্জামান , মো. ফারুক আহমেদ সিদ্দিক, মমতাজ বেগম, এ বি এম বদরুদদৌলাহ, মো. আবদুল ওয়াদুদ, শাহ আলম সরকার, সঞ্চিতা সাহা, সহিদ উল্লাহ শেখ, সাবেক এমপি হাজি মকবুল হোসেন, আবুল কাশেম চৌধুরী, মো. ফজুলল করিম, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. আব্দুস সাত্তার, এ এইচ আব্দুর রহমান চৌধুরী , এস এম জাহিদুর রহমান। এম এ কে গোলাম মহিউদ্দিন, এম বি তাজ মোহাম্মদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল লতিফ পালোয়ান, মো. রেজাউল করিম হেলাল, আব্দুল মান্নান, মো. ওসমান গনি, মো. ইদ্রিসুর রহমান, মতিউর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, একরামুজ্জামান, হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া , সায়েদুল হক, লিয়াকত আলী, হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, আবু জাফর মো. মহিউদ্দিন, এ ওয়াই এম নাজিমুল আলম, সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন, এস এম ইমদাদুর রহমান, সৈয়দ মতিউল ইসলাম, মো. একরামুল হক, মো. আবুল হারুন, দেওয়ান শরিফ উদ্দিন, মো. আলী হোসেন সোহেল, ড. মো. এনামুল হক, মো. ইকবাল হোসেন, আজিজুর রহমান, খালেদা সরকার , মো. ওয়াজিদুল ইসলাম, এস এম নুরুল হক, এম এ মান্নান, নেয়ামত উল্লাহ, আব্দুল লতিফ মিয়া, মো. আব্দুল মজিদ, এম এ খালেক, কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য এটিএম আলমগীর, মো. হাবিবুর রহমান শওকত, আহমদ হোসেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল কে এস নবীর কনিষ্ঠ ছেলে কাজী সিরাতুন নবী, মো. মীর হোসেন, মো. শরীফ হোসেন, মো. ময়েজ উদ্দিন, মনসুর হোসেন, মো. মিজানুর রহমান মোল্লা, মো. আব্দুল হালিম, আবুল কালাম মাইনুদ্দিন, মো. নুরুল হোসেন, এ কে এম সালাউদ্দিন কবির, মো. মতিউর রহমান, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, স্নেহাশীষ সমাদ্দার, আসিফ ইমতিয়াজ খান ও মো. আফতাব আলী, আনসার আলী শেখ, মো. আব্দুর রেজ্জাক মিয়া, কাজী সাজাওয়ার হোসেন, মো. আনিসুজ্জামান, এ কে এম খালেক, নেওয়াজ ফরাজি, রফিকুল ইসলাম খন্দকার, আসিফ আহমেদ মুরাদ, কাজী রকিবুল ইসলাম, মো. আয়াত আলী পাটোয়ারী, মো. আবদুস সহিদ চৌধুরী, ফকির দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন, নাজমুল হক শাহ চৌধুরী, মো. মুজিবুল হক মুন্সি , মো. হাফিজ-উর রহমান, মো. এনামুল হক খান, খালেদা পান্না, এনায়েত হোসেন খান, মো. জাহিদ হোসেন, কর্নেল (অব.) শওকত আলী, মো. মনিরুল ইসলাম, আবদুল কাইয়ুম, মো. নাজমুল হক, মো. সোলাইমান হোসেন। গতবছরের শেষ দিকে মারা যান সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবু সাইদ আহমেদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আব্দুল আউয়াল মিয়া ও মো. ওসমান গনি। দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, করোনায় অসংখ্য আইনজীবী প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের মৃত্যুই কষ্টের। আমরা আইনজীবীদের সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, করোনাকালে ঠিক কতজন আইনজীবী মৃত্যুবরণ করেছেন এর সঠিক হিসাব আমাদের  কাছে নেই। তবে আমাদের সমিতির কমপক্ষে ১৩৫-১৪০ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বলেন, আইনজীবীদের সুরক্ষায় সব ধরণের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর