আবারো মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সাবেক ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে গতবছর লকডাউনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় টানা ১২১ দিন শহরের ছিন্নমূল ভাসমান মানুষদের জন্য দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছি জাতিসংঘ থেকে "রিয়েল লাইফ হিরো" উপাধি।
আগামীকাল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে শুরু হচ্ছে লকডাউন। শহরের অসহায় সংকটাপন্ন মানুষের জন্য তিনটি সেবা নিয়ে আগামীকাল থেকে কার্যক্রম শুরু করবেন তিনি-
১. বিনামূল্যে রোগীদের পরিবহন সেবাঃ লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ এবং অতিরিক্ত রোগীর চাপে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্কট তৈরি হওয়ায় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে অসংখ্য মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। আমাদের হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগের মাধ্যমে এই সেবাটি প্রদান করা হবে।
২. টিএসসিতে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তাঃ শহরের অসংখ্য ভাসমান ছিন্নমূল ও ভবঘুরে মানুষ রয়েছে। গৃহহীন শ্রমজীবী মানুষগুলো দিন এনে দিন খায় অথচ লকডাউনে অসহায় হয়ে পড়ছে। পূর্বের ন্যায় এই মানুষগুলোর জন্য থাকছে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম।
৩/বিনামূল্যে শিশুর গুড়া দুধঃ লকডাউনে শহরে অসংখ্য পরিবার উপার্জনহীন হয়ে পড়ায় শিশুর দুধ কেনার সামর্থ্য থাকে না।
সে সকল মায়েদের কাছে বিনামূল্যে সন্তানের দুধ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। এই সেবাটি হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
হট লাইন ও যোগাযোগঃ 01684023411
সৈকত বলেন, চৈত্রের এই সংক্রান্তিকালে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, মহামারির কারণে জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। করোনার প্রকটে মৃত্যুর হাহাকার বাড়ছে প্রতিনিয়ত, আমরা আমাদের প্রিয়জন হারানোর তীব্র ব্যথা অনুভব করছি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার লকডাউন ঘোষণার পর জনদুর্ভোগ দূর করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তবে আমরা মনেকরি সরকারের একার পক্ষে পরিস্থিতি মোকাবেলা অসম্ভব। সংকটের এই সময়ে এসে সরকারি বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরী।
তিনি আরো বলেন, আশাকরি পূর্বের ন্যায় আপনাদের সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় এ শহরের কিছু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করবো।