× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চারদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগে হাসপাতালে ভর্তির আগেই মারা যান আমিরুল

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৪ এপ্রিল ২০২১, বুধবার

শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল। এর মধ্যেই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। চারদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন দক্ষিণখানের আমিরুল ইসলাম (৪৫)। অবস্থার অবনতি ঘটলে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আইসিইউতে সিট মিলেনি। শেষ পর্যন্ত গত সোমবার সকালে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। সেখানে ভর্তির আগেই মারা যান আমিরুল।
মানবজমিনের সঙ্গে কথা হয় আমিরুলের শ্যালকের। তিনি জানান, কিছুদিন যাবৎ হালকা কাশি ও জ্বর ছিল আমিরুলের।
গত শুক্রবার সকালে নাশতা করার আধাঘণ্টা পরে হঠাৎ করে তার শরীর খারাপ লাগছিলো। এ সময় তিনি ফ্লোরে ঢলে পড়েন। তার স্ত্রী এবং বাসায় থাকা অন্য স্বজনরা আমিরুলকে ধরে বসানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে খাটে শোয়ানো হয় তাকে। এসময় তার প্রচ- শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। মুখ দিয়ে লালা নিঃসরণ হতে থাকে।
আমিরুলের স্বজনরা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে চেষ্টা করে ভর্তি করাতে পারেননি তাকে। চারদিন পর এম্বুলেন্সযোগে মুগদা  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করার কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু তা সম্পন্ন করার আগেই আমিরুল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ সময় নিহতের স্বজনদের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। মৃত আমিরুল রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
একই হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট এবং গলাব্যথা নিয়ে ভর্তি হন সালাম (৩৯) নামে এক রোগী। সালামের স্বজন শাহ্ আলম জানান, গত সপ্তাহে গাজীপুরের নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেক চেষ্টার পরে তাকে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত  সোমবার মারা যান সালাম।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীর ভর্তির সঙ্গে লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর সারি। রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৫০০ শয্যা মুগদা  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৩১০টি শয্যার মধ্যে ২৮৬টিতে রোগী রয়েছে। ১৯টি আইসিইউ’র শয্যা নেই। সবগুলোতে রোগী রয়েছে। এ বিষয়ে মুগদা হাসপাতালের পরিচালক ডা. অসীম কুমার নাথ মানবজমিনকে বলেন, এই হাসপাতালে ৩০০ জন রোগী আমরা ভর্তি করতে বাধ্য। আমাদের আইসিইউ এবং এইচডিইউতে মোট ২৯ জন  রোগী ভর্তির সক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টা আমাদের জরুরি  সেবা বিভাগ এবং কোভিড পরীক্ষা চালু রয়েছে। তিনি বলেন, অসুস্থ হলে রোগীকে হাসপাতালে আসতে হবে। এর বাইরে অনেক সময় দেখা যায়  রোগী হাসপাতালে ভর্তির যোগ্য না, তার পরেও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এরকম ঘটনাও ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে যখন তার হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন তখন অবশ্যই সে হাসপাতালে আসবে। তখন বাসায় বসে থাকার কোনো যুক্তি  নেই। আমাদের এখানে সম্ভব না হলে অন্য হাসপাতালে তাকে চিকিৎসাসেবা নিতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর