চলতি প্রজন্মের চিত্রনায়িকা অধরা খান। সর্বাত্বক লকডাউনের আগের দিন দুবাই থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফেরার আগে দুবাইতে ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়েছেন দুই দফায়৷ সব মিলিয়ে দুবাই সফর কেমন হলো? অধরা মানবজমিনকে বলেন, আসলে করোনা পরিস্থিতির পর অনেক দিন পর মূলত ঘুরতে গিয়েছিলাম দুবাই। তবে সেখানে অনেক দিন থাকবো তাই ভাবলাম ভ্যাকসিন দিয়ে নেই। তাছাড়া পরিবারের সদস্যরাও চিন্তায় ছিলো। ভ্যাকসিন তারাও নিতে বলছিলো। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন দেয়া হলো। তবে শেষের দিকে বেশ বিপাকে পরতে চলেছিলাম।
সেটা কেমন? উত্তরে অধরা বলেন, ১১ই এপ্রিল আমার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ ছিলো। সে সময় শুনলাম দেশে লকডাউন ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। টেনশনে পরে গেলাম। তড়িঘড়ি করে কোনরকমে ফিরতে পেরেছি দেশে। এখন দেশে কি কাজ রয়েছে? অধরা বলেন, কাজ তো বেশ কিছুই ছিলো। আমার তিনটি ছবির শুটিং হবার কথা। 'কোভিড ১৯ ইন বাংলাদেশ', 'গিভ এন্ড টেক' ও 'উন্মাদ' ছবির বাকি শুটিং শেষ হবার কথা ছিলো। কিন্তু এখন আবার অনিশ্চয়তায় পড়তে হলো। আসলে চলচ্চিত্রের শুটিং করতে গেলে কমপক্ষে ১০০ জন মানুষ থাকেন। তো সেখানে করোনা ছড়ানোর একটা শঙ্কাও থাকে। তাহলে চলচ্চিত্রের অবস্থা কেমন হবে বলে মনে হচ্ছে? অধরা উত্তরে বলেন, গত বছর করোনার কারণে সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে মাত্র সব ঠিক হওয়া শুরু হচ্ছিলো, কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবার থমকে গেলো সব। মনে হচ্ছে এ বছরটিও গত বছরের মতোই যাবে। কারণ সব কাজই এখন অনিশ্চিত। তবে চাওয়া থাকবে যেন সব দ্রুত ঠিক হয়। প্রিয়জন যেন কাউকে না হারাতে হয়। সেজন্য ভ্যাকসিনের পাশাপাশি সবারই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।