লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে দৃঢ়তা দেখাল রিয়াল মাদ্রিদ। লিভারপুলকে তাদেরই মাঠে গোলশূন্য ড্রতে রুখে দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে জিনেদিন জিদানের দল। প্রথম লেগে ৩-১ ব্যবধানে জেতে রিয়াল। সেমিতে রিয়ালের প্রতিপক্ষ চেলসি।
প্রথম লেগে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা লিভারপুলকে ঘরের মাঠে জিততে হতো অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে। বুধবার রাতে সেই চেষ্টা ম্যাচের শুরু থেকেই করে গেল ইয়ূর্গেন ক্লপের দল। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের জমাট রক্ষণের বিপক্ষে একটা গোলও আদায় করতে পারেননি মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানেরা। লিভারপুল ঘরের মাঠে শুরু থেকেই গোলের উদ্দেশ্যে তেঁড়েফুঁড়ে ফুটবল খেলেছে। অপর দিকে গোলের চিন্তা বাদ দিয়ে রক্ষণে চীনের মহাপ্রাচীর গড়ে তুলতে চেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ! ৫৬ শতাংশ বলের দখল ধরে রেখে লিভারপুল গোলবার লক্ষ্যে শট নিয়েছে ১১টি, অপর দিকে রিয়াল পুরো ম্যাচে শট নিয়েছে মাত্র ৩টি।
তবুও জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি লিভারপুল। শেষ চার নিশ্চিত করার দিনে অচেনা এক স্বাদ পেয়েছেন জিদান। চ্যাম্পিয়নস লীগের নকআউট ম্যাচে তার দল সর্বশেষ গোলশূন্য ম্যাচ কাটিয়েছিল সেই ২০১৫-১৬ মৌসুমে, এরপর থেকে সব নকআউট ম্যাচেই কমপক্ষে একটি করে গোল করেছে তার দল, এমনকি বিদায় নেওয়ার সব ম্যাচেও।
২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতার পর গত দুই আসরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় রিয়াল। ওই দুর্দশা কাটিয়ে জিদানের অধীনে ফের শেষ চারে তারা। আর দুটি বাধা টপকে গেলে ধরা দেবে শিরোপা। অন্যদিকে লা লিগায় আট ম্যাচ হাতে রেখে শীর্ষ দল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে কেবল এক পয়েন্ট পেছনে রিয়াল। এই দুটি ট্রফিতে চোখ জিদানের। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ বলেছেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে দলকে টানছি এবং এই দল সবসময় তা করে এবং আরও বেশি চায়। আমরা এখনও কিছু জিতিনি। কিন্তু আমরা ইউরোপ ও লা লিগায় এখনও টিকে আছি।’ প্রতিযোগিতার ইতিহাসে অন্য যে কোনও ফরাসি কোচের চেয়ে বেশি চতুর্থবার সেমিফাইনালে উঠে আর্সেন ওয়েঙ্গারকে টপকালেন জিদান। তার অধীনে রিয়াল কেবল একবার সেমিফাইনালের আগে বিদায় নিয়েছিল, গত বছর শেষ ষোলোতে ম্যানসিটির কাছে হেরে।