নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, বিদ্বেষপরায়ণ সাইবার হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থাকে টার্গেট করা হতে পারে। এ বিষয়ে জানেন এমন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্বে থাকা প্রায় ১০ জন রাশিয়ান কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়া হতে পারে। কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে ৩০টি সংস্থাকে। তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি। রয়টার্স লিখেছে, ইউক্রেনের কাছে রাশিয়া সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছে। এতে পশ্চিমাদের ধৈর্য্যরে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। ঠিক এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে ঘোলাটে সম্পর্ক আরো অস্থির হয়ে উঠতে পারে।
সোলার উইন্ড করপোরেশনের সাইবার হামলার জবাবে বড় রকমের এই অবরোধ আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সরকারের দাবি, এই হামলার সঙ্গে রাশিয়া জড়িত। হামলার মাধ্যমে হ্যাকাররা হাজার হাজার কোম্পানি এবং সরকারি অফিসে প্রবেশের সুযোগ পায়। এসব অফিস ওইসব কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করে। মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট ব্রাড স্মিথ এই হামলাকে এ যাবতকাল বিশ্ব দেখেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে পরিশীলিত হামলা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় মস্কো হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ আছে। এর জন্য তাদেরকে শাস্তি দেয়াও এই নিষেধাজ্ঞার অন্যতম লক্ষ্য। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ফল নেয়ার জন্য গত নির্বাচনে প্রচেষ্টা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নির্বাচনে পরাজিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। করোনা ভাইরাস লড়াইয়ের মধ্যে গত মাসে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে। ওই সময় প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একজন কিলার বা খুনি বলে আখ্যায়িত করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তারপর নতুন করে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার ফলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। মঙ্গলবার পুতিনকে এক ফোনকলে বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ওইসব কর্মকাণ্ডের জবাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে। এ সময় পুতিনকে তৃতীয় একটি দেশে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন বাইডেন। যদি এমন বৈঠক হয় তাহলে দুই নেতা আবার একত্রিতভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন ও ক্রাইমিয়ার কাছে বিপুল পরিমাণ সৈন্য সমাবেশ করেছে রাশিয়া। এতে ওয়াশিংটন ও তার ন্যাটো মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।