× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাকিবের নম্বর জুয়াড়িদের দিয়েছিলেন স্ট্রিক?

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার

আইসিসি দুর্নীতি বিরোধী বিধি ভঙ্গের দায়ে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক। যিনি এক সময় বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্বেও ছিলেন। স্ট্রিকের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি মূল্যবান প্রশ্নও উঠে এলো সামনে। স্ট্রিক ও সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কোনো যোগসাজেশ নেই তো?

সাকিব ক্রিকেট থেকে এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এক জুয়াড়ির দেওয়া প্রস্তাব আইসিসিকে গোপন করে। কে সেই জুয়াড়ি? স্ট্রিকের নিষেধাজ্ঞার পরপরই একটি নাম ঘুরে ফিরে আসছে। দীপক আগারওয়াল। এই জুয়াড়ির সঙ্গে স্ট্রিকের সম্পর্কের কথা এখন আর গোপন নেই। আইসিসি যখন সাকিবকে নিষিদ্ধ করছিল তখন সংবাদ সম্মেলনে জানায়, সাকিবের কাছের কেউ আগারওয়ালকে তার নম্বর দিয়েছেন।
কিন্তু সেই ব্যক্তির নাম তখন জানানো হয়নি। এবার যেন, সেই রহস্যের সমাধান হলো। তবে কি সাকিবের নম্বর স্ট্রিকই দিয়েছিলেন আগারওয়ালকে? ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো’তে স্ট্রিকের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত বিষয়ক যে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

স্ট্রিকের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক পুরোনো। খেলোয়াড়ি জীবনে অনেকবার বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি। অবসরের পর ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচও ছিলেন স্ট্রিক। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৫ বিশ্বকাপও। বাংলাদেশে কোচিং করানো ছাড়াও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটেও খেলেছেন স্ট্রিক। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন আবাহনী লিমিটেডের হয়ে। আগরওয়ালের সঙ্গে স্ট্রিকের যোগাযোগ শুরু হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে, জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি লীগ আয়োজনের ব্যাপার নিয়ে। জিম্বাবুয়ের সাবেক এই আইকনিক অধিনায়ক তখন দেশটির জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। দিল্লি ভিত্তিক ব্যবসায়ী আগরওয়াল তখনো সব প্রকার ক্রিকেটীয় কর্মকা- থেকে আইসিসি কর্তৃক দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হননি। সেই নিষেধাজ্ঞা তিনি পান গত বছর এপ্রিলে। তার আগে অবশ্য সাকিবকে আইন ভঙ্গের প্রস্তাব দেন আগরওয়াল।  

জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি লীগ আয়োজন করে বড় অঙ্কের আয় করতে চেয়েছিলেন স্ট্রিক-আগারওয়াল। তার জন্য দুজনে হোয়াটসঅ্যাপ, ব্যক্তিগত ফোন, ই-মেইলে দুজন যোগাযোগ রাখেন। জুয়ার সঙ্গে জড়িত জেনেও স্ট্রিক প্রায় ১৫ মাস আগরওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। পরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ব্যাপারটি আইসিসির নজরে আসে। তখন স্ট্রিক ছিলেন জিম্বাবুয়ে, আইপিএল ও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লীগের কোচ। তার আগে স্ট্রিকের কাছ থেকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলের ভেতরের তথ্য পেয়ে যান আগারওয়াল।

দুই বছর বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ থাকাকালীন ও ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় স্ট্রিক বেশ আস্থাভাজন ছিলেন দেশের ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের কাছে। সে সময় স্ট্রিকের কাছ থেকে তারই সুযোগ নেন আগারওয়াল। আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘২০১৭ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ সংস্করণে মিস্টার এক্স (পরে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনিই আগারওয়াল) মিস্টার স্ট্রিককে দলের অধিনায়ক, মালিক আর ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। তাহলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে এবং সেই অর্থ পরে জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি লীগে বিনিয়োগ করা যাবে। পরে দেখা গেছে, স্ট্রিকের কাছ থেকে মিস্টার এক্স ক্রিকেটার, দলের মালিকদের নম্বর নিয়েছেন, যা দিয়ে পরে মিস্টার এক্স দলের কাছ থেকে ভেতরের তথ্য, যেমন আসন্ন ম্যাচে কোন দল জিতবে, তা বের করতে পারত।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর