গুরুতর অসুস্থ মায়ের বদলে মাটি কাটার কাজে যোগ দিয়ে পিআইও’র লাথি খেয়ে কাজ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন রিপন রায় (১৬)। নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তায় কাজ করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, রাস্তার মাটি কাটার কাজে কর্মরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মায়া রানী নামের এক গৃহবধূ। তিনি অসুস্থ থাকায় তার স্কুলে পড়ুয়া ছেলে রিপন রায় মায়ের বদলি হিসেবে কাজে যোগ দেন। এ ঘটনায় সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে তার সঙ্গে অশালীন আচরণের এক পর্যায়ে লাথি মেরে কাজ থেকে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে পিআইও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে ভুল স্বীকার করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি লোকমুখে প্রকাশ পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় জেলা সদরে। গৃহবধূ মায়া রানীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হওয়ায় আমার ছেলে আমার হয়ে মাটি কাটার কাজ করার সময় ওই অফিসার লাথি দিয়ে কাজ থেকে বের করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, পিআইও এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি চরম নিন্দনীয়, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে পিআইও রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিপনকে ধাক্কাধাক্কির কথা স্বীকার করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত ৭ জন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি প্রতিটি প্রকল্প থেকে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ভৌতিক কাজের নামে টাকা আদায় করাকে নিয়মে পরিণত করেছেন।