× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নওগাঁর ছোট যমুনা নদী এখন গোচারণ ভূমি

বাংলারজমিন

এসএম সাইফুল ইসলাম, রাণীনগর (নওগাঁ) থেকে
১৬ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার

এক সময়ের উত্তাল খরস্রোতা নওগাঁর ছোট যমুনা নদী এখন নাব্য সংকটের কারণে শুষ্ক মৌসুমে গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এই নদীর রাণীনগর অংশের দুই পাড়ে চলতি ইরি-বোরা মৌসুমে শেষ মুহূর্তে সেচ সংকটে ইরি ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই নদীর পানি না থাকায় ইরি ধানের সেচ দেয়ার লক্ষ্যে স্কিম মালিকরা নদীগর্ভে বিশেষ বিশেষ জায়গায় পাইপ বসিয়ে পানি তুলে সেচ সুবিধা চালিয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর সরকারের পক্ষ থেকে নদীর নাব্য ধরে রাখার জন্য খনন কাজ না করায় নদীর পানি শুকিয়ে এখন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী। নদীর তীরবর্তী এলাকার মিরাট ইউনিয়নের কনৌজ, হরিশপুর, আতাইকুলা, ধনপাড়া, জালালাবাদ, মেরিয়া, কাশিমপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহনী, কাশিমপুর বড়াইজপাড়া, সর্বরামপুর, এনায়েতপুর। গোনা ইউনিয়নের দুর্গাপুর, ভবানীপুর, ঘোষগ্রাম মালঞ্চিসহ বিভিন্ন গ্রামের বসবাসরত মানুষরা পায়ে হেঁটে ও অন্যান্য যানবাহনে নির্বিঘ্নে নদী পার হচ্ছে। নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে চলেছে। স্থানীয়রা বলছে, ছোট যমুনা নদীর বর্তমান চিত্র এতই করুণ যে চৈত্র-বৈশাখ মাসে কোনো মতে জেগে আছে তার শূন্য বুক।
এই নদী একদিন আপন সৌন্দর্য্যে ভরপুর ছিল। দেখা যেত ছোট-বড় শুশুকসহ নানা প্রজাতির দেশি মাছ। এই নদী এখন পানি শুকিয়ে গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান জানান, বেশ কিছুদিন থেকে বৃষ্টিপাত না থাকা, পর্যায় ক্রমে নদীতে পলি পড়লেও খনন কাজ না করার কারণে নদীটি পানি ধরে রাখতে পারছে না। তবে আশার বাণী, দেশব্যাপী সরকারের ৬৪ জেলায় নদী-নালা, জলাশয়-খাল খনন কর্মসূচির আওতায় দ্বিতীয় ধাপে নদীটি খনন কাজের তালিকাভুক্ত হতে পারে। অনুমোদন সাপেক্ষে এর খনন কাজ শুরু করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর