ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘সুস্থ এবং কার্যকর’ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন শীর্ষ কূটনীতিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জানুয়ারিতে দুই দেশের শীর্ষ গোয়েন্দাদের মধ্যে দুবাইয়ে গোপন বৈঠক হয়েছে। বুধবার ওয়াশিংটনে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির হুভার ইনস্টিটিউশনে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল ওতাইবা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনা প্রশমন এবং অস্ত্রবিরতিতে একটি ভূমিকা পালন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আশা করা যায়, এতে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন হবে এবং সুস্থ একটি সম্পর্ক ফিরে আসবে। তিনি আরো বলেন, হয়তো তাদের মধ্যে বেস্ট ফ্রেন্ড সম্পর্ক ফিরে আসবে না। তবে তা ন্যূনতম একটি কার্যকর অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা করা যায়।
যেখানে কার্যক্রম সচল থাকবে। তারা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে ভারত। এ ছাড়া একই বছরে ভারতীয় সামরিক বহরের ওপর আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এসব মিলে দুই দেশের সম্পর্কে বরফ কঠিন অবস্থা বিরাজ করে। পাকিস্তানে এর প্রতিবাদে উত্তেজনা বাড়তেই থাকে। ফলে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দুই দেশ। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।
ওতাইবা বলেন, আফগানিস্তানে একটি সহায়ক ভূমিকা রাখা উচিত পাকিস্তানের। কারণ, আগামী ১লা মে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ইতি ঘটতে চলেছে। আমিরাতের এই কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের আকস্মিক এই সেনা প্রত্যাহারের ফলে অগ্রগতি বিপরীতমুখী হতে পারে। তিনি বলেন, প্রশ্ন হলো যদি তিনটি পক্ষ- যুক্তরাষ্ট্র, তালেবান এবং আফগানিস্তান সরকার একটি চুক্তিতে আসতে পারে তাহলে এটা কাজ করবে। সেখানে পাকিস্তানের সহায়ক ভূমিকা ছাড়া স্থিতিশীল আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে পড়বে। ওদিকে আগামী ২৪ শে এপ্রিল থেকে ৪ঠা মে পর্যন্ত একটি শান্তি সম্মেলন আহ্বান করেছে তুরস্ক। তাতে সম্ভাব্য রাজনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজা হতে পারে।