× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বৃটেনে যে কারণে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা করোনায় বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ১৬, ২০২১, শুক্রবার, ৭:১৩ অপরাহ্ন

সম্প্রতি বৃটেনে থাকা বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি কমিউনিটিতে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্তএ ধরণের সকল কমিউনিটিই কোভিড মৃত্যুর ঝুঁকিতে ছিল। তবে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা ছিল ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে। রিপোর্টে বৃটেনের স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্য এবং নীতিমালার সীমাবদ্ধতা উন্মুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে কীভাবে ভবিষ্যতে এই কমিউনিটিগুলোকে সুরক্ষিত করা যায় তা নিয়েও পরামর্শ দেয়া হয়েছে এতে।
জাতিগত বৈষম্য স¤পর্কিত এক কমিশনের রিপোর্টে জানানো হয়, শুধুমাত্র জাতিগত পরিচয়ই এখন করোনা ঝুঁকি বৃদ্ধির একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, বিদেশি কমিউনিটিগুলোর যেসব অসুবিধার মুখে পড়তে হয় তা করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যু দুইই বৃদ্ধি করে। এরমধ্যে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি দলগুলো সবথেকে বেশি স্থায়ী এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভোগে।
এর কারণ হিসেবে এই বৈষম্যকেই দায়ি করা হয়। তারা সাধারণত ছোট দোকানগুলো, মালামাল পরিবহণ এবং সেবাখাতগুলোতে কাজ করেল। এরফলে তারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছে।
একইসঙ্গে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা অধিক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে থাকে। সেখানে একই ছাদের নিচে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই থাকতে হয়। এ কারণে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। পরিবারের একজন কোথাও থেকে আক্রান্ত হলেই বাকিরা ঝুঁকিতে পরে যায়। তাদের জন্য আইসোলেশনে থাকাও অসম্ভব। এছাড়া তাদেরকে মোকাবেলা করতে হয় বর্ণবাদকেও। তাদের জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে যে বৈষম্যের শিকার হতে হয় তা শারীরিক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রেও অন্য বাঁধার মুখোমুখি হতে হয়।
এরকম অবস্থায় যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানলো তখন তা বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি কমিউনিটির মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করলো। সেবাখাত ও দোকানগুলো অনেক দিন খুলে রাখা হয়েছিল। এখানে কাজ করাদের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রীয় কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। আর চাইলেও সবাই কাজ বন্ধ করে তাদের পরিবারের ভরন পোষণ চালাতে পারছিলেন না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর