× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সূচি পারলেও যেতে পারছেন না মাবিয়া

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ এপ্রিল ২০২১, শনিবার

পরপর দু’টি এসএ গেমসে সোনা জিতেছেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। সবশেষ বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসেও উজ্জ্বল ছিলেন দেশ সেরা এই ভারোত্তোলক। ৬৪ কেজি ওজন শ্রেণিতে অংশ নিয়ে তিনটি জাতীয় রেকর্ড গড়ে প্রস্তুতি সারেন উজবেকিস্তানের। যেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারলেই অলিম্পিকে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা বাড়তো মাবিয়ার। শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগ হাতছাড়া হলো তার। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউনের ফাঁদে পড়ে উজবেকিস্তান যেতে পারলেন না এই ভারোত্তোলক। তবে তড়িঘড়ি করে লকডাউনের আগের দিন প্রতিবারের ন্যায় টেকনিকেল অফিসিয়াল কোঠায় ঠিকই উড়াল দিয়ে তাসখান্দে চলে গেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচ শাহরিয়া সুলতানা সূচী।
প্রায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক আসরে সূচীকে পাঠায় ফেডারেশন। অথচ কোথাও সুযোগ দেয়া হয় না আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশনের (আইডব্লুএফ) লেভেল -১ রেফারি খুরশীদা খাতুন খুশীসহ অন্যদের।
টোকিও অলিম্পিকে ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার জন্য সাতটি সিনিয়র টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে হয় এবং পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করতে হয়। মাবিয়া ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং পারফরম্যান্সের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখীই ছিল। এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ী মাবিয়ার সপ্তম টুর্নামেন্ট ছিল উজবেকিস্তানে। সেই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ১৯শে এপ্রিল উজবেকিস্তান যাওয়ার কথা ছিল তার। মাবিয়ার সঙ্গে উজবেকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল আরো দুই ভারত্তোলক মনিরা কাজী ও জিয়ারুল ইসলামের। তাদের সবারই টিকিট নিশ্চিত ছিল। কিন্তু করোনা মহামারি বৃদ্ধি হওয়ায় হঠাৎ করে কঠোর লকডাউন দেয় সরকার। বন্ধ হয়ে যায় সকল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের কারনে যেতে পারছেন না দেশ সেরা এই ভারোত্তোলক। এ নিয়ে  মাবিয়া বলেন, ‘১৬ এপ্রিল টুর্নামেন্ট শুরু। আমার ইভেন্ট ছিলো ২১শে এপ্রিল। আমাদের বাংলাদেশের সমস্যার জন্য তো আর টুর্নামেন্ট বন্ধ থাকছে না। অন্য প্রতিযোগীরা ভেন্যুতে চলে যাচ্ছেন। ফলে আমার ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা অবশ্যই ক্ষীণ হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি মেনে নেয়া ছাড়া তো আর কিছু করার নেই।’ মাবিয়া যখন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের বিড়ম্বনায় পড়েছেন, তখন ঠিকই তার ফেডারেশন থেকে বিচারক হিসেবে একই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে শাহরিয়া সুলতানা সূচি পাড়ি দিয়েছেন উজবেকিস্তান। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যদি বিচারক হিসেবে সূচি যেতে পারেন, তাহলে অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনা বাড়াতে মাবিয়াকে কি পাঠাতে পারতো না ফেডারেশন? এ বিষয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্ণেল নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাবিয়ার অংশ নেয়ার সময়টা লকডাউনের মাঝামাঝি ছিল। আমাদেরও চেষ্টার কোন ঘাটতি ছিল না। তবে সূচীর সিডিউল আগে থেকেই করা ছিল। তাই সে চলে গেছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর