× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেরপুরে মারপিটে আহত কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু

বাংলারজমিন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
১৭ এপ্রিল ২০২১, শনিবার

বগুড়ার শেরপুরে মারপিটে আহত শালফা কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষককের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাতে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর মাদকসেবী বলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, শেরপুরের শালফা কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেটিভ বিভাগের আইটি শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান (৪৩)কে গত ৫ই এপ্রিল বিকালে মিলন ও রানা নামের দুজন ইউপি সদস্যের সমর্থন নিয়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান চোখ-মুখ, বুক-পেট ও কোমরে আঘাত পান। পরে তাকে রানা মেম্ব্বার কৌশলে বগুড়ায় তিনমাথা একটি বেসরকারি মাদকাশক্ত চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করে দিনে দুই বার ব্যথানাশক ইনজেকশন পুশ করতে থাকেন। এরপর গত ১৫ই এপ্রিল রাত ২টার পর শিক্ষক মোস্তাফিজুরের অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। গতকাল বাদ জুমা মাগুরার তাইর গ্রামে জানাজা নামাজ শেষে ওই শিক্ষককে দাফনের সময় ঘোষণা করা হলেও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করার জন্য।
তারপর সেখানে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলামসহ গোয়েন্দা বিভাগের এসআই আতাউর রহমান সঙ্গীয় একদল পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য আদেশ দেন। কিছুক্ষণ পর আবার সেই আদেশ অজ্ঞাত কারণে প্রত্যাহার করা হলে মৃতদেহ দাফন করা হয়। শালফা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইউসুফ আলী জানান, শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান কখনোই মাদকসেবী ছিলেন না। এটা স্রেফ একটা হত্যাকাণ্ড।  শেরপুর থানার ওসি জানান, পরিবারের লোকদের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়নি। তবে আদালতের মাধ্যমে কেউ আবেদন করলে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর