× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ৩

বাংলারজমিন

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
১৮ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি’র গ্রামের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা ফের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। এ সময় ৩টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। এ সময় বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।  এ ঘটনায় রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মাদক সম্রাট হাসান ইমাম রাসেল (৪৫), বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন রিয়াদ (২৭), বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওহিদ উল্যাহ দিদার (৩০)। ইতিপূর্বে সেতুমন্ত্রীর বাড়িতে তার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৬ বার বোমা হামলা ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে বাড়িতে থাকা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, মাদক সম্রাট হাসান ইমাম রাসেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিকাল থেকে আমাদের বাড়ির আশপাশে মহড়া দিচ্ছে, এরা রাতে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে।
 
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি ৩ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের সময় হাসান ইমাম রাসেলসহ অন্য সন্ত্রাসীদের ঘটনাস্থলে দেখা গেছে বলে সেতুমন্ত্রীর ছোট ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনের মধ্যে হাসান ইমাম রাসেল ও ওহিদ উল্যাহ দিদার বৃহস্পতিবার বসুরহাট পৌরসভায় আক্রমণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা রাসেলের মাদক ব্যবসা ও অনিয়মের ব্যাপারে কথা বলায় তিনি ফেসবুক লাইভে মেয়রকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে মন্তব্য করে আসছিলেন। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১১টায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বাড়িতে রাসেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। রাব-১১ কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল দিচ্ছে। গতকাল দুপুর ১২টায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, এই মাদক সম্রাট হাসান ইমাম রাসেল কোম্পানীগঞ্জে প্রধান মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ও সে একজন ইয়াবা বদি সিন্ডিকেটের সদস্য। বৃহত্তর নোয়াখালীর বিভিন্ন শহরে, হাটবাজারে, অলিগলিতে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে বলে এলাকাবাসী জানায়।  ২০১৪ সালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান বসুরহাট মেইন রোডের ভাই ভাই ম্যানশন থেকে রাসেলকে ১ কেজি গাঁজাসহ আটক করে এবং তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। ২০১৮ সালে নোয়াখালী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামানের নেতৃত্বে ট্রাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। পরে নোয়াখালীর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক ইমরুল চৌধুরী কায়েসবাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। গত ৭ই এপ্রিল বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বাদী হয়ে রাসেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর