× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাকাত সম্পদকে পবিত্র করে তোলে

শেষের পাতা

মাওলানা এমএ করিম ইবনে মছব্বির
১৮ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

আজ পঞ্চম রোজা। জাকাত-সাদাকাহ্‌ এবং দান-খয়রাত প্রদানের উত্তম মাস হলো রমজান। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে জাকাত হলো অন্যতম একটি স্তম্ভ। কালেমা, নামাজ এবং রোজা হলো শারীরিক এবং আত্মিক ইবাদত। জাকাত ও হজ হলো- অর্থনৈতিক ইবাদত। জাকাত মুমিন বান্দার ধন সম্পদকে পবিত্র করে  তোলে। টাকা, পয়সা, সোনা, রুপা, পালিত গরু-ছাগল, ভেড়া, মহিষ এবং ফল, ফসলের জাকাত, ব্যবসা- বাণিজ্যেরও জাকাত প্রদান করতে হবে। জাকাত হলো- ধনীদের সম্পদের ওপর গরিব, অসহায়, অনাথ, এতিম, মিসকিন এবং মুছাফিরের জন্য মহান আল্লাহ্‌র ফরজ নির্দেশ প্রদত্ত গরিব, মিসকিন অসহায় অনাথ ফকিরদের প্রাপ্ত হক।
জাকাত ধনীদের পক্ষ থেকে গরিবের প্রতি কোনো মেহেরবাণী বা দয়া নয়। জাকাত হলো- ধনীদের ওপর মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের নির্দেশিত ফরজ বিধান রাসূলে পাক সাঃ রমজান মাস এলেই খুব বেশিগুণে যাকাত, ছাদকাহ, দান করতেন। এমনকি ছাহাবায়ে ক্বেরামগণ ও রমজান মাস আসার সঙ্গে সঙ্গেই জাকাত, সাদাকাহ্‌ প্রদানের জন্য খুবই উৎসাহিত হয়ে যেতেন। নিম্ন জাকাত এবং সাদাকাহ্‌ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্‌র বাণী এবং রাসূলে পাক সাঃ এর হাদিস পেশ করা হলো। মহামারিকালীন সময়ে জাকাত-সাদাকাহ্‌ দান-খায়রাত করলে বিপদ-আপদ, বালা-মুছিবত দূর হয় এবং মানুষের হায়াতে জিন্দেগীতে বরকত হয়। জাকাত-সাদাকাহ্‌ দান- খায়রাত হলো বিত্তশালী মু’মিন বান্দার পক্ষ হতে একটি অর্থনৈতিক ইবাদত। রাসূলে পাক সাঃ এরশাদ করেন যে, আস্‌ সাদাকাতু তারুদদুল বালা। অর্থাৎ সাদাকাহ্‌ করলে বালা-মুছিবত দূরীভূত হয়।

মহান আল্লাহ্‌ পাক ঘোষণা করেন যে, নিশ্চয়ই সাদাকাহ্‌ (জাকাত) হলো- ফকির, মিসকিন, তৎসংশ্লিষ্ট মানুষের জন্যে, যাদের চিত্তাকর্ষণ করা হয় তাদের জন্যে, আল্লাহ্‌র পথে এবং মুসাফিরদের জন্য- এটা আল্লাহ্‌র বিধান (সূরায়ে আত্‌ তাওবাহ্‌ ৯:৬০)।

যাকাত সম্পর্কে রাসূলে পাক সাঃ বলেন যে, তোমরা সাদাকাহ্‌ (জাকাত) প্রদান করো, কেননা তোমাদের ওপর এমন যুগ আসবে যখন মানুষ আপন সাদাকাহ্‌ নিয়ে ঘুরে বেড়াবে কিন্তু তা গ্রহণ করার মতো কাউকে পাবে না। দাতা যাকে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করবে সে লোকটি বলবে, গতকাল পর্যন্ত নিয়ে আসলে আমি গ্রহণ করতাম। আজ আমার আর কোনো প্রয়োজন নেই। (সহীহ্‌ বুখারী: ১৪১১, সহীহ্‌ মুসলিম: ১০১১)

রাসূলে পাক সাঃ এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র কাছ থেকে ধন-সম্পদ পেয়েছে কিন্তু সে তার জাকাত আদায় করেনি, কিয়ামতের দিন ওই ধন-সম্পদ এমন বিষধর সাপে পরিণত হবে যার মাথার ওপর থাকবে দু’টি কালো দাগ। এ সাপ সে ব্যক্তির গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। অতঃপর সাপ উক্ত ব্যক্তির গলায় ঝুলে তার দুই টা গালে কামড়াতে থাকবে এবং বলবে, আমি তোমার মাল, আমি তোমার সঞ্চিত সম্পদ (সহীহ্‌ বুখারী: ১৪০৩)। জাকাত বা সাদাকাহ্‌ ধনীদের পক্ষ থেকে গরিবকে দান করা কোনো অনুগ্রহ নয়। বরং জাকাত হলো আল্লাহ্‌র ফরজ বিধান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর