× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলা সিনেমার মিষ্টি মেয়ে কবরীর বিদায়

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৮ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

চলে গেলেন বাংলা সিনেমার মিষ্টি মেয়ে খ্যাত সারাহ বেগম কবরী। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এই অভিনেত্রী, পরিচালক ও সাবেক সংসদ সদস্য রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র তথা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। গতকাল বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয় সারাহ বেগম কবরীকে। তার আগে বাদ জোহর কবরস্থান এলাকায় তার জানাজা হয়। জানাজা শুরুর আগে বনানী কবরস্থানের সামনেই মুক্তিযোদ্ধা এই অভিনয়শিল্পীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। ৫ই এপ্রিল করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরপরই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এ অভিনেত্রীকে।
পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ৮ই এপ্রিল শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হলে ১৫ই এপ্রিল বিকালে এ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় কবরীকে। অবশেষে করোনার সঙ্গে লড়াই করতে করতে চলেই গেলেন এ বরেণ্য অভিনেত্রী। ১৯৫০ সালের ১৯শে জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্ম কবরীর। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারে। ১৯৬৪ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নির্মাতা সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপরের গল্প কেবল সফলতার। দীর্ঘ পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৭৫ সালে নায়ক ফারুকের সঙ্গে ‘সুজন সখী’ তাকে এনে দেয় আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা। ছাড়িয়ে যায় আগের সব সফলতাকে। তার  দর্শকপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আগন্তুক’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘সারেং বৌ’, ‘দেবদাস’, ‘হীরামন’, ‘চোরাবালি’, ‘পারুলের সংসার’ প্রভৃতি। ৫০ বছরের বেশি সময় চলচ্চিত্রে রাজ্জাক, ফারুক, আলমগীর, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ঢাকার চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিল রাজ্জাক-কবরী। কবরী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সেখানে বিভিন্ন সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করেন। পরে দেশে ফিরে চলচ্চিত্রে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ২০০৬ সালে ‘আয়না’ নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনার মধ্য দিয়ে নির্মাণে অভিষেক ঘটে কবরীর। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে ‘এই তুমি সেই তুমি’ না?মে দ্বিতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। কিছুদিন আগেই সেই ছবির কাজ শেষও করেন। অভিনয় ও নির্মাণের বাইরে নিয়মিত লেখালেখিও করতেন কবরী। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা স্মৃতিচারণমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কবরী। ব্যক্তিগত জীবনে কবরী প্রথম বিয়ে করেছিলেন চিত্ত চৌধুরীকে। সম্পর্কে বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী পাঁচ সন্তানের মা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর