ভারতে রবিবার কোভিড আক্রান্ত রেকর্ড সংখ্যক ২ লক্ষ ৬০ হাজার জন। পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমিত ৭ হাজার ৭১৩। এরমধ্যে মৃত ৩৪ জন। সংখ্যাটি ৩৫ হতে পারতো যদি না সাবির মোল্লা বেঁচে থেকে প্রমান না করতেন তিনি কোভিড এ মারা যাননি। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও ঘটনাটি এমনই। বুকে অসম্ভব ব্যাথা নিয়ে সাবির মোল্লা ভর্তি হয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত ১১ এপ্রিল। রবিবার সকালে তাঁর বাড়িতে হাসপাতাল থেকে খবর যায় যে সাবির মোল্লার মৃত্যু হয়েছে কোভিডে এবং তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি আছে। হাসপাতাল থেকে বাড়ির লোকেরা যেন ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে যান।
যেহেতু কোভিড এ মৃত্যু তাই মরদেহ দেওয়া যাবেনা শেষকৃত্যের জন্যে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই শেষকৃত্য করবেন গোবরা সমাধিক্ষেত্রে। শোকাকুল আত্মীয়রা ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে মর্গের সামনে জড়ো হন সাবিরকে একবার শেষ দেখা দেখবার জন্যে। মর্গের সামনে সমবেত আত্মীয়দের মধ্যে হটাৎ একজন চমকে ওঠেন মৃত সাবিরের গলা শুনে। হাসপাতালের একটি বাথরুম থেকে সাবির চিৎকার করে ডাকছেন তাঁর এক আত্মীয়কে। ছুটে যান আত্মীয়রা। সাবির মোল্লাকে সুস্থ শরীরে আবিষ্কার করেন তাঁরা। আনন্দের রোল পড়ে যায়। সাবির মোল্লা বেঁচে থেকে প্রমান করেন, তিনি মারা যাননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হতবাক। তাহলে কার মৃতদেহ মর্গে গেল? সাবির মোল্লার নামে ডেথ সার্টিফিকেট বা ইস্যু হল কিভাবে? চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গড়ে অনুসন্ধান করছে। সাবির মোল্লার পরিবার খুশি মৃত ব্যাক্তিকে জীবন্ত খুঁজে পেয়ে। তার থেকে খুশি বোধহয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর- কোভিড এ একটি মৃত্যুতো অন্তত কম হল!