× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাধবদীতে সঞ্চয়ের টাকা চাওয়ায় রক্তাক্ত নারী গ্রাহক

বাংলারজমিন

মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
১৯ এপ্রিল ২০২১, সোমবার

নরসিংদীর মাধবদীতে সমিতিতে সঞ্চয়ের টাকা চাইতে যাওয়ায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এতে রুনা বেগম (২৫) নামে এক নারী গ্রাহককে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার মাধবদীর কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের ডৌকাদী ক্লাবঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার ঘটনার বিচার চেয়ে সমিতির লোকজনদের বিরুদ্ধে মাধবদী থানা পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান ভুক্তাভোগীর স্বামী আলমগীর (৩০)। ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের ডৌকাদী ক্লাবঘর এলাকায় ‘জনসেবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে স্থানীয় একটি সমিতি অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে গ্রাহক যোগাড় করে। প্রলোভন দেখানো হয় এককালীন ৬ হাজার টাকা জমা দিলে পাঁচ বছর পর সুদে-আসলে ২৩ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। এতে ব্যাপক লোক সাড়া দিয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা সঞ্চিত রাখে। গ্রামের আলমগীর ও তার স্ত্রী রুনা বেগমও এ সমিতিতে যোগ দেন।
সমপ্রতি রুনা বেগমসহ অনেকের টাকা জমা রাখার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সঞ্চয় ভাঙতে চায়। কিন্তু সমিতির লোকজন এতে তালবাহানা শুরু করে। দফায় দফায় তাদেরকে সময় দেয়া হয়। একপর্যায়ে গত শুক্রবার সকালে টাকার জন্য রুনা বেগম তার স্বামী আলমগীর, ভাসুর দেলোয়ারসহ কয়েকজন সদস্য সমিতির পরিচালক একই গ্রামের মৃত শবদর আলীর ছেলে ওবায়দুল্লাহদের বাড়িতে যায়। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে বাকবিতণ্ডা হলে সমিতির লোকজন লোকজন চড়াও হয়ে তাদেরকে ব্যাপক মারধর করে। এতে রুনা বেগম (২৫) এর মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এর আগে রুনার স্বামী আলমগীর ও ভাসুর দেলোয়ারকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত রুনা বেগম জানান, তার ভাসুর দেলোয়ার ও স্বামী আলমগীরসহ সমিতির টাকা আনতে গেলে সমিতির পরিচালক ওবায়দুল্লাহ (৫২), মিজান মিয়া (৪৫), ওসমান মিয়া (৩৭)সহ একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ফারুক মিয়া (৩০), হাবিউল্লার ছেলে আবু সাইদ (২৫), হুমায়ুন এর ছেলে রাছেল (২৫), আব্বাস মিয়া (৩৫) সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে রুনা বেগম গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রুনার মাথায় ১০টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সমিতির লোকজনদের এ ব্যাপারে নিয়ে বসা হয়েছে। তারা প্রতি গ্রাহককে ১২ হাজার টাকা করে ফেরত দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, কিন্তু গ্রাহকরা এটা মানছেন না। এছাড়া এক নারী গ্রাহককে জখম করায় ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের আশ্রয় নিয়েছেন। মাধবদী থানায় যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান জানান, কাঁঠালিয়া ইউনিয়নে ডৌকাদী গ্রামের ঘটনাটি অবগত নন তিনি। তবে অভিযোগ দেয়া হলে তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর