বাগানের চা গাছের ছেঁটে ফেলা বুড়ো ডালপালা চা পাতার সঙ্গে মেশানো হয় বিভিন্ন গাছের পাতা। পাতাগুলো গুঁড়া করে মেশানো হয় সোডা জাতীয় কেমিক্যাল। এসব পাতা শুকিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি করা হয় নকল গ্রিনটি। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের সিক্কা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র তৈরি করছে এসব নকল গ্রিনটি যা দেশের বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীত সিজনে প্রতি বছরই চা বাগানগুলোতে চা গাছের বুড়ো ডালপালা ছেঁটে দেয়া হয়। এসব চা গাছের ডালপালা স্থানীয় এলাকার মানুষজন রাতের বেলা সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে বুড়ো চায়ের পাতা সংগ্রহ করে ডালাপালা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। পরে ৭০০-৮০০ টাকা মণ দরে সংগ্রহকৃত চা পাতা বিক্রি করে দেয় চক্রটির কাছে। পরে তারা এসব পরিত্যক্ত চা পাতা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিন বাড়ি থেকে ৮৭ বস্তা নকল গ্রিনটি পাতা উদ্ধার করে পুলিশ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গলের তিন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নকল গ্রিনটি পাতা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনায় জড়িতরা পালিয়ে যায়। সিক্কা গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ঘর থেকে ৪০ বস্তা, নুর মিয়ার ঘর থেকে ৩৫ বস্তা, আবদুল মজিদ মিয়ার ঘর থেকে ১২ বস্তা গ্রিনটি ও বালুমিশ্রিত ডাস্ট এবং সোডার মাধ্যমে তৈরি করা চা পাতা উদ্ধার করা হয়। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. আবদুছ ছালেক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিক্কা এলাকার কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। নকল চা পাতা উদ্ধার হলেও ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভেজাল চা-পাতা তৈরির আসামিরা পালিয়ে যায়।