× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১১০ কিলোমিটার রিকশা চালিয়ে সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে পিতা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
১৯ এপ্রিল ২০২১, সোমবার

অসুস্থ সন্তানকে বাঁচাতে ৯ ঘণ্টা রিকশা চালিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন এক অসহায় বাবা। এম্বুলেন্সের ভাড়া না থাকায় ঠাকুরগাঁও থেকে রিকশা চালিয়ে ১১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন তিনি। এ সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে অসুস্থ শিশু জান্নাতের চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছেন সমাজের বিত্তবানরা। বর্তমানে শিশুটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
অসুস্থ শিশুর পিতা রিকশাচালক তারেক ইসলাম (৩৯) বলেন, ৭ মাস বয়সী শিশু জান্নাত রক্ত পায়খানা করায় গত ১৩ই এপ্রিল রাতে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য জান্নাতকে রংপুরে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতিতে আমার হাতের অবস্থা এতটাই খারাপ যে কালকে কি খাব সেই টাকাও আমার কাছে নেই। এ অবস্থায় আমি কীভাবে বাচ্চাকে নিয়ে এত দূরের রাস্তা আসব ভেবে পাচ্ছিলাম না।
যখন এম্বুলেন্সের টাকা জোগাড় করতে পারলাম না। তখন সন্তানকে বাঁচানোর জন্য রিকশা চালিয়ে রংপুরে আসার সিদ্ধান্ত নিই। চারদিন ধরে কোনো ব্যবস্থা করতে না পেরে অবশেষে নিজে গত শনিবার ঠাঁকুরগাঁও থেকে রিকশা চালিয়ে ১১০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে সন্তানকে নিয়ে রংপুরে আসি। তার চিকিৎসার ভার সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ নিয়েছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আল্লাহর রহমতে বাচ্চাকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি নিয়ে ফিরতে চাই।
হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক সহকারী রেজিস্ট্রার ওপেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শিশুর পেটে নাড়ি উল্টে প্যাঁচ রয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষার ফল হাতে আসার পর শিশুটির অস্ত্রোপচার করার বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে। তবে গত শনিবার ঠাকুরগাঁও থেকে শিশুটিকে যে অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। শিশুটি আগের চেয়ে ভালো রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর