× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মামুনুলের বিরুদ্ধে মানিব্যাগ-মোবাইল চুরির মামলা

অনলাইন

রুদ্র মিজান
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ১৯, ২০২১, সোমবার, ৭:৫০ অপরাহ্ন

মসজিদের ভেতর থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইলফোন চুরির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আসামি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে। গত বছরের ৭ই মার্চ মোহাম্মদপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় এই অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও হামলা, মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে ওই মামলায়। মামলার সাত নম্বর আসামির স্থলে মামুনুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পিতার নাম অজ্ঞাত বলে এতে উল্লেখ করা হয়। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাজেদুল হকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সোমবার তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনাস্থল গত বছরের ৬ই মার্চ মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ এলাকায় সাত গম্বুজ মসজিদ। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টায় মামুনুল হক ও তার ভাই মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার ছাত্র আসামি ওমর এবং ওসমান মামলার বাদি জি এম আলমগীর শাহীন ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের মসজিদে আমল (ধর্মীয় কাজ) করতে নিষেধ করেন।
তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেন। তাদের মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন মামুনুল হকের লোকজন।
এসময় জি এম আলমগীর শাহীন প্রতিবাদ করলে মামুনুল হক ও তার ভাই মাহফুজুল হকের নির্দেশে ওমর, ওসমান, শাহিন, মাওলানা আনিস, জহির মাদ্রাসার ভেতরে গিয়ে শাহীনের সঙ্গে থাকা সাত-আটজনের উপর হামলা চালায়। এসময় মামলার বাদি শাহীন এগিয়ে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তাৎক্ষণিকভাবে মামুনুল হকের নির্দেশে মাদ্রাসার ৭০-৮০ জন ছাত্র বের হয়ে শাহীনকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। আসামি ওমর ও ওসমান তাদের হাতের লাঠি দিয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। ওমরের লাঠির আঘাতে শাহীনের বামচোখ গুরুতর জখম হয়। আঘাতের কারণে নিস্তেজ হয়ে বাদি মসজিদের ভেতরে শুয়ে পড়েন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, এরপর আসামিরা বাদীর একটি স্যামসাং এ-৫০ মোবাইলফোন, নগদ সাত হাজার টাকা, ২০০ ডলার ও ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ডেবিট কার্ডসহ বাদীর মানিব্যাগ নিয়ে যায়। পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করলে শাহীনকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় আসামিরা। রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মাদ্রাসার মুহতামিম মাহফুজুল হক ও তার ভাই মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এই মামলায় জড়িত থাকার স্বাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। উক্ত আসামি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মভিরু মুসলমান ও মাদ্রাসা ছাত্রদের উস্কিয়ে দেয়। মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অজ্ঞাতনামা আসামির নাম-ঠিকানা জানা যাবে। এছাড়াও চোরাই যাওয়া মালামাল উদ্ধার করার লক্ষ্যে, আসামিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা ও জিজ্ঞাসাবাদের নিমিত্তে তার সাত দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।
এই রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটের দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মামুনুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলাটি দায়ের করেন মোহাম্মদপুরের চান মিয়া হাউজিংয়ের ৪১/৪০ নম্বর বাড়ির মৃত জি এম আব্দুল হামিদের পুত্র জি এম আলমগীর শাহীন। গত রোববার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর