বাংলাদেশের দুই ফুটবলার মাসুক মিয়া জনি ও আতিকুর রহমান ফাহাদ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে আহত হয়ে চিকিৎসার অর্থ পেয়েছিলেন ফিফার কাছ থেকে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জনির জন্য সাড়ে ১৪ লাখ ও ফাহাদের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। এই প্রজেক্টে আরো দুই ফুটবলারের চিকিৎসার অর্থ ফিফার কাছে চেয়েছে বাফুফে। একজন বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ, অন্যজন আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। জাতীয় দলে খেলতে গিয়ে ফুটবলার আহত হতে পারেন- এমন আশংকা থেকে ক্লাবগুলো খেলোয়াড় ছাড়তে গড়িমসি করে। ক্লাবগুলোর এই অনীহা দূর করতেই জাতীয় দলের হয়ে খেলে কেউ আহত হলে তাদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি একটি প্রকল্প তৈরি করেছে, যার নাম ‘ফিফা ক্লাব প্রটেকশন প্রজেক্ট।’ এই প্রজেক্টের আওতায় এবার সোহেল ও বিশ্বনাথের জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে। সোহেল মেরুদণ্ডে ব্যথা পেয়েছেন নভেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত নেপালের বিপক্ষে সিরিজের ম্যাচের সময়। বিশ্বনাথ পায়ে আঘাত পেয়েছেন গত মাসে নেপালে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে ম্যাচের সময়।
চিকিৎসার জন্য কোন খেলোয়াড় কত টাকা পাবে তা নির্ভর করে ইনজুরির ধরন ও চিকিৎসার সময়ের ওপর। বাফুফে সেভাবেই সোহেলের ৩৫ দিন চিকিৎসার জন্য ৪ লাখ টাকা এবং বিশ্বনাথের ৬০ দিনের জন্য সাড়ে ৩ লাখ টাকার মতো চেয়েছে। ফিফার এই প্রজেক্টে একজন আহত ফুটবলার কমপক্ষে ৩০ দিন ও সর্বোচ্চ ৩৬৫ দিন চিকিৎসা ব্যয়ের অর্থের জন্য আবেদন করতে পারে। ইনজুরড ফুটবলারদের চিকিৎসার জন্য ফিফা সর্বোচ্চ ৮ কোটি ইউরো দিয়ে থাকে। আবেদন করতে হবে আহত হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে। কারো ইনজুরি ৩০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে গেলে ফিফার এই প্রজেক্টের অর্থ সহায়তা পাবেন না। ক্লাবের খেলোয়াড়দের এই প্রটেকশন প্রজেক্টের বিস্তারিত ফিফা প্রতিটি দেশের ক্লাবগুলোর কাছে পৌঁছে দিয়েছে ফেডারেশনের মাধ্যমে। তবে বাংলাদেশের ফুটবলাররা এখন পর্যন্ত যে চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছে এবং পাচ্ছে সেটা বাফুফেরই উদ্যোগে।