সুন্দরবনে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে মৌয়ালদের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় মধু উৎপাদন কম হবে বলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সরজমিনে সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা গ্রামে পেশাদার মৌয়াল ফারুক, আবুল কাশেম, মুন্সিগঞ্জ গ্রামের সিরাজ ও হাতেম আলীসহ অনেকে বলেন, মহাজনের কাছ থেকে চড়াসুদে টাকা ধার নিয়ে মধু আহরণের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করি। কিন্তু কাক্সিক্ষত মধু পাওয়া যাচ্ছে না। একটি চাক হতে সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুই কেজি মধু পাওয়া যাচ্ছে। মৌয়ালরা জানান, সুন্দরবনে ১৫ দিনব্যাপী মধু আহরণের জন্য ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় চাকে মধু পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকার মধু পাওয়া গেছে।
এতে ব্যাপক লোকসান হবে।
সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম. এ হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, বৃষ্টির সাথে মধু উৎপাদনের নিবিড় সম্পর্ক। আকাশের পানি না হলে গাছে ফুল ঠিকমতো আসে না। আর ফুল না হলে মধু কমে যায়। বর্তমান সময়ে সুন্দরবনে খলিসা গাছের ফুল হতে মৌয়ালরা মধু আহরণ করে থাকে। খলিসা ফুলের মধু উৎকৃষ্ট মানের, রং সাদা, খেতে সুস্বাদু। একটি পরিপূর্ণ চাক হতে ৬/৭ কেজি মধু পাওয়া যায়। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় চাক হতে সর্বোচ্চ দেড় থেকে ২ কেজি মধু পাওয়া যাচ্ছে। সুন্দরবনে গাছে গাছে প্রচুর চাক আছে কিন্তু মধুর পরিমাণ কম। এবার আহরিত মধুর ঘনত্ব বেশি এবং অধিক মিষ্টি।
চলতি বছর সুন্দরবনের পশ্চিম বনবিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্চে মধু আহরণের লক্ষ্য মাত্রা ১ হাজার ৬৫ কুইন্টাল এবং মৌ ২৬৫ কুইন্টাল। প্রতি কুইন্টাল মধু আহরণের জন্য রাজস্ব ৭৫০ টাকা। এবং মৌ ১০০০ টাকা নির্ধারিত আছে।