× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঘাটাইলে স্ত্রীকে হত্যা করে পালালো স্বামী

বাংলারজমিন

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  নিহতের নাম বানেছা বেগম (৪০)। সে উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের শমসের আলীর মেয়ে।
 সোমবার উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে নিহতের নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে  লাশের গায়ে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গতরাতে কোন এক সময় তাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের মা ও এলাকাবাসী  জানান,  স্বামী পরিত্যক্তা নিহত বানেছা বেগম দীর্ঘদিন ধরে গার্মেন্টে চাকরি করে এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে গাজীপুরে বসবাস করতেন। ছেলে বাবলু বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। এর মধ্যে তার পরিচয় হয় মির্জাপুর উপজেলার বাশতৈল গ্রামের গাড়ি চালক খোকন মিয়ার সাথে। গোপনে বিয়েও করেন।
বিয়ের কিছুদিন পরেই দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। শুরু হয় অশান্তি, বুঝতে পারেন খোকন মিয়ার আসল উদ্দেশ্য।

বানেছা বেগমের মা আরও জানান, বিভিন্ন অজুহাতে বানেছার জমানো টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে খোকন। একপর্যায়ে খোকনের হাত থেকে নিস্তার পেতে মেয়েকে নিয়ে চলে আসেন নিজ গ্রাম কামালপুরে। পৈত্রিক ভিটায় বাড়ি করে সেখানেই গত এক বছর ধরে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন বানেছা। সব দুঃখ কষ্ট ভুলে মেয়ে জান্নাতকে নিয়ে বেশ ভালই কাটছিল তার ছোট্ট সংসার। এরমধ্যে মেয়ে জান্নাতের বিয়ে দেন পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলায়। তারপর থেকে নিজ বাড়িতে একাই বসবাস করতেন বানেছা। এখানেও মাঝে মাঝে আসতো খোকন মিয়া এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো টাকার জন্য। বাধ্য হয়ে কিছুদিন আগে খোকনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলাও করেন। তাতেও থেমে থাকেনি প্রতারক খোকন। বিভিন্নভাবে নিষেধ করা সত্ত্বেও মাঝে মাঝেই আসতো বানেছার বাড়ি। গত দুইদিন যাবত এখানেই অবস্থান করছিলেন বলে জানান নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। দুপুর হয়ে গেলেও ঘরের দরজায় তালা ঝুলানো দেখে নিহতের মায়ের  সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে কম্বল দিয়ে ঢাকা অবস্থায় বানেছার মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে  স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে, সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্র এবং ঘাটাইল থানার পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। এব্যাপারে সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) জাকির হোসেন বলেন, লাশের গায়ে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পোস্টমর্টেমের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘাটাইল থানার ওসি (তদন্ত) সানোয়র হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর