যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা যখন আরো গভীর হয়েছে তখন এক ন্যায়পরায়ণ বিশ্বের আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মঙ্গলবার তিনি বিশ্ব শাসনের বর্তমান ক্ষমতা কাঠামো প্রত্যাখ্যান করেছেন। উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সময় থেকেই ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে চরম উত্তেজনা বিরজ করছে। এমন অবস্থায় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শি। এতে তিনি কিছু দেশের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং বিচ্যুত হওয়ার কারণে তাদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ওইসব দেশের এমন আচরণ অন্যদের ক্ষতির কারণ হবে। আদতে তা থেকে কেউই সুবিধা পাবে না। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দীর্ঘ সময় ধরে বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে আসছে চীন। এতে মুষ্টিমেয় কিছু বড় দেশের পরিবর্তে পারস্পরিক বিভিন্ন ইস্যু এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন বড় দেশের সঙ্গে বিশ্ব শাসন নিয়ে বার বার সংঘাতময় অবস্থানে চলে আসে চীন। এর মধ্যে রয়েছে মানবাধিকার থেকে অন্য দেশের ওপর চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ঘটনা। শি জিনপিং বলেন, বিশ্ব চায় ন্যায়বিচার। কারো আধিপত্য নয়। তিনি আরো বলেন, কোন একটি বড় দেশকে বড় দেশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। কিন্তু তাদের কাঁধেও থাকতে হবে অধিক দায়। শি তার এ বক্তব্যে কোনো দেশের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করলেও তিনি যে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তা স্পষ্ট।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম হোয়াইট হাউজে কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসেন। এদিন তিনি চীনকে আলোচনার শীর্ষে স্থান দিয়ে বৈঠক করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা’র সঙ্গে। এতে দুই নেতাই হংকংয়ে এবং শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার নিয়ে গুরুত্বর উদ্বেগ তুলে ধরেন। সেখানে ওয়াশিংটন বলে, শিনজিয়াংয়ে মুসলিম উইঘুরদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে বেইজিং। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীন।