কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে গমের ভালো ফলন হয়েছে। শ্রমিক সংকট নিরসনে মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের সাশ্রয় হয়েছে সময় ও অর্থ। জানা গেছে, এই মৌসুমে কুষ্টিয়ায় ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। যার প্রায় অর্ধেকই দৌলতপুরে চাষ হয়েছে ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। আর কৃষকের চাষকরা গম থেকে ৪৪ হাজার ২৬৬ টন গম উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমচাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৫-৭ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ১৮ থেকে ২০ মণ। ন্যূনতম ১১০০ টাকা মণ হিসেবে খরচ বাদ দিয়ে কৃষকদের লাভ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
এর আগে শ্রমিক দিয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকদের খরচ হতো বেশি। এ বছর কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা-মড়াইয়ের ফলে কৃষকদের সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি গমের অপচয় কম হওয়ায় খুশি তারা। আদাবাড়িয়া এলাকার কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, কম খরচে ও অল্প সময়ে তিনি ৩ বিঘা জমির গম কেটে ঘরে তুলেছেন। এতে তার সময় ও অর্থ দুইই সাশ্রয় হয়েছে। অপচয়ও কম হয়েছে। একই অভিমত প্রকাশ করেছেন গোয়ালগ্রামের কৃষক এমদাদ হোসেন।
আদাবাড়িয়া এলাকার কৃষক উজ্জ্বল হোসেন জানান, ভর্তুকি পেয়ে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে কৃষকদের গম কাটা-মাড়াই করে এ বছর বেশ লাভবান হয়েছেন। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই করার ফলে কৃষকদের অর্থ, সময় ও গমের অপচয় কম হয় বলে জানান তিনি। শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকির মাধ্যমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করার ফলে কৃষকরা তা ক্রয় করে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।
কৃষিনির্ভর দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিলে গমচাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তান্তিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আর এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।