ইউরোপিয়ান সুপার লীগ নিয়ে টালমাটাল ফুটবল অঙ্গন। বিতর্কিত এই লীগে খেললে জাতীয় দল থেকে ব্রাত্য হবেন ফুটবলাররা। আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছে পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন ফুটবল প্লেয়ার্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড (ফিফপ্রো)।
ফিফা আগেই জানিয়েছিল, সুপার লীগে খেললে ফুটবলারদের জন্য জাতীয় দলের দরজা বন্ধ। সুপার লীগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে গত ১৮ই এপ্রিল। এরপর একই হুমকি দেয় উয়েফা। এক বিবৃতিতে ফিফপ্রো বলে, ‘ফুটবল সংস্কৃতি, ফুটবলের পরিচয় এবং বিশেষ করে খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারের উপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে খেলোয়াড় এবং তাদের সংগঠনগুলোর মধ্যে অনেক উৎকণ্ঠা এবং প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ফুটবল তার অনন্য সামাজিক এবং সাংস্কৃতির ঐতিহ্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যেটি শুধু ফুটবল ও সমর্থকদের মাঝে অতুলনীয় সম্পর্ক তৈরি করে দেয়নি, অন্য যেকোনো খেলাধুলার চেয়ে পেশাদার এই খেলাটির বিস্তারের ভিতও তৈরি করে দিয়েছে।
এটি টিকিয়ে রাখতে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর এবং আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।’ ফিফপ্রো বলে, ‘খেলোয়াড়দের কোনো পক্ষের সম্পদ ও উদ্দেশ্য সাধথনের উপায় হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করা হয়। ফিফপ্রোর কাছে এটা অগ্রহণযোগ্য। আমরা ৬৪টি ন্যাশনাল প্লেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং ৬০ হাজার খেলোয়াড়দের প্রতিনিধি। যে কোনো পক্ষের নেয়া খেলোয়াড়দের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের বিপরীতে আমরা কঠোর বিরোধীতা করবো।’
ইউরোপিয়ান সুপার লীগে যোগ দিয়েছে ইউরোপের শীর্ষ ১২ ক্লাব-রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, জুভেন্টাস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। উয়েফা জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস লীগের চলতি মৌসুমের রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যান সিটি ও চেলসির সেমি ফাইনাল খেলা নাও হতে পারে। কারণ এই তিন দল সুপার লীগের জোটে নাম লিখিয়েছে। আগামী শুক্রবার এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।