গত বছর দেশে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক হাত ধোয়ার বেসিন ও পানির ট্যাংকি স্থাপন করা হয়েছিল। শুরুর দিকে কিছুদিন বেসিনের পাশে হাত ধোয়ার উপকরণ হিসেবে সাবান রাখা হয়েছিল বর্তমানে তাও নেই। সরজমিন দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার রেলওয়ে পার্কিংয়ে বেসিনে পানি নেই, সাবান রাখার স্থান আছে, কিন্তু সাবান নেই। এমন অবস্থায় রয়েছে উপজেলার শিল্প নগরী অলিপুরের বেসিনটিও। একইভাবে উপজেলার বেসিনগুলো শুধু নামেই আছে, কাজে নেই। বেসিনের মাঝে ধূলোবালি আর ময়লা জমে আছে, তদারকি না থাকার কারণে করোনা প্রতিরোধে এগুলো কোনো কাজেই আসছে না। জনসচেতনতার অভাবে জনসাধারণ ও বেসিন যেমন ব্যবহার করছেন না, তেমনি কর্তৃপক্ষ ও এ ব্যাপারে রয়েছেন উদাসীন। সমপ্রতি করোনাভাইরাস আবারও প্রকট আকার ধারণ করেছে এ থেকে রক্ষা পেতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় মাত্র দুইটি বেসিন নির্মাণ করা হয়েছিল।
দু’টি বেসিন নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ বিশ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা গণস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমরা সুন্দর করে বেসিন নির্মাণ করে দিয়ে আসেছি, কিন্তু সাধারণ মানুষের অসচেতনার জন্য বেসিন ঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এছাড়া শায়েস্তাগঞ্জে যে বেসিনটি বসানো হয়েছে সেটির পানি অনেক দূর থেকে পাইপ দিয়ে আনা হয়েছে। রেলপার্কিংয়ে অতিরিক্ত গাড়ি আসা যাওয়ার কারণে পাইপ ফেটে গিয়ে পানির সংযোগ ব্যাহত হয়। আর সাবান পানি দেখভাল করার জন্য স্থানীয় একজন দোকানদারকে দায়িত্ব দিয়ে এসেছিলাম, আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখবো। আর করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বেসিন বাড়ানো যায় কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, বেসিন চাইলে বাড়ানো যায়, কিন্তু সাধারণ মানুষ ঠিকমতো এর ব্যবহার করতে জানে না, ফলে আমাদের বদনাম হয়।