কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও কুমিল্লা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান দীপুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিবার। গতকাল বেলা ১১টায় কুমিল্লা নগরীর চকবাজার পৌর মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তার পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগ নেতা দীপুর চাচাতো ভাই ও ব্যবসায়িক পার্টনার মো. রুকন উদ্দিন রুকন। লিখিত বক্তব্যে রুকন বলেন, সরকারি বিধিবিধান মোতাবেক ইজারা নিয়ে আমরা গোমতী নদীর একটি ঘাট থেকে বৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছি। আমরা ইজারা পাওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাসী সফিক তাকে ৫০ হাজার টাকা প্রতি মাসে চাঁদা দিতে হবে বলে আমাদের জানায়। ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান দীপু চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বিভিন্ন সময় সে অফিসে এসে হুমকি ধমকি দিতো। এরই জের ধরে গত ১৬ই এপ্রিল দুপুর পৌনে ১টায় গোমতী নদীর চরে বালুমহালের সামনে এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ সফিক মিয়ার নেতৃত্বে রাসেল, মো. আবু তাহের, মো. রহমত উল্লাহ ও হোসেনসহ আরো ৩/৪ জন সন্ত্রাসী দীপুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা ছাত্রলীগ নেতা দীপুকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।
কিন্তু এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনায় গত ১৭ই এপ্রিল সন্ত্রাসী সফিক মিয়া, রাসেল, মো. আবু তাহের, মো. রহমত উল্লাহ ও হোসেনসহ আরো ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে তার ভাই মো. রেজাউল হাসান হৃদয় বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। কিন্তু আসামিরা প্রকাশ্যে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাদের হুমকি দিলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। আসামিদের গ্রেপ্তার না করাতে আমাদের গোটা পরিবার এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই কিবরিয়া বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো অবহেলা নেই। আমি আজও আসামিদের বাড়িতে অভিযানে গিয়েছি। তারা আত্মগোপনে আছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।