× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আশা জাগিয়েছে ডিএনসিসি হাসপাতাল

প্রথম পাতা

পিয়াস সরকার
২১ এপ্রিল ২০২১, বুধবার

হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরছে রোগী। চাই আইসিইউ। কয়েক হাসপাতাল ঘুরেও মেলেনি আইসিইউ এমন চিত্রও ছিল চেনা। কিন্তু মঙ্গলবার ভিন্ন চিত্র মেলে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে। রোগীরা এসেই সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি হতে পারছেন। প্রয়োজনমাফিক মিলছে আইসিইউ সুবিধা। ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। গোটা রাজধানীতে সরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের জন্য আইসিইউ রয়েছে ২২০টি।
এই হাহাকারের সময় আশার আলো নিয়ে এসেছে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল। নতুন এই হাসপাতালে ২১২টি আইসিইউ। যার মধ্যে ৮০টি আইসিইউ ইতিমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় আইসিইউ বেডের প্রয়োজন হতো প্রতি ১০ জনে একজনের। কিন্তু এখন তা বেড়ে প্রয়োজন হচ্ছে তিনজনের। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। অধিক প্রয়োজন হচ্ছে আইসিইউ বেডের। তাই স্বভাবতই বাড়ছে হাহাকার।

মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সুবিশাল এই হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, রোগীরা সাবলীলভাবেই ভর্তি হতে পারছেন। মাদারীপুর থেকে বৃদ্ধা মা’কে নিয়ে এই হাসপাতালে এসেছেন সিগ্ধা রয়। তিনি বলেন, মা অনেক অসুস্থ। আটদিন ধরে আক্রান্ত। অবস্থার অবনতি হতে থাকলে আইসিইউ’র প্রয়োজন হয়। মাদারীপুরের চিকিৎসকদের পরামর্শেই আইসিইউ’র জন্য ঢাকায় আনা। খবরে অনেক সংকটের কথা শুনলেও এখানে সঙ্গে সঙ্গেই আইসিইউ’তে ভর্তি করাতে পেরেছি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে এসেছেন রাফসান খান ও মেয়ে ইয়াসমিন। তাদের বাবা লাবলু খানের বয়স ৭০। অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি কর্মকর্তা দ্বিতীয় দফায় করোনা আক্রান্ত। মেয়ে ইয়াসমিন বলেন, এই হাসপাতালের কথা জানতামই না। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার ডাক্তাররা এই হাসপাতালের কথা বললেন। এরপর এখানে নিয়ে আসি। আসার সঙ্গে সঙ্গেই আইসিইউ পেয়ে যাই। বাবার অক্সিজেন লেভেল ওঠানামা করে। এখন ৮০’তে আছে। শুধু তাই নয়, বিদেশগামীরাও এই হাসপাতালে কোভিড-১৯ টেস্ট করছেন। দেখা যায় দেশ পাড়ি দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা লাইনে দাঁড়িয়ে সু-শৃৃঙ্খলভাবে স্যাম্পল দিচ্ছেন। নোয়াখালী থেকে আসা সাইফুল আতোয়ার বলেন, ভোগান্তি ছাড়াই টেস্টের জন্য স্যাম্পল দিলাম। তাদের কার্যক্রম খুবই গোছানো। আইসিইউ’র পাশাপাশি হাসপাতালে করোনা রোগীরা সাধারণ বেডেও খুব সহজেই ভর্তি হতে পারছেন। মিরপুরবাসী মো. শুভ বলেন, বাবা করোনা আক্রান্ত আইসিইউ’র প্রয়োজন হয় নাই। আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে এখানে নিয়ে আসি। একদিন এখানে রয়েছেন। তাদের সেবা খুবই ভালো। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। জানা যায়, পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে হাসপাতালটি মোট এক হাজার শয্যা থাকবে। আইসিইউ বেড থাকবে ২১২টি, এইচডিইউ বেড ২৫০, কোভিড আইসোলেটেড রুম ৫৩৮টি।

অন্যান্য হাসপাতাল থেকে রোগীদের না আসার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন। সকালে হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯২ জন রোগী রিপোর্ট করেছে। ৮৩ জন রোগীকে আমরা ভর্তি করেছি। ৩৪ জন রোগীকে আমরা আইসিইউ’তে নিয়েছি। তারমধ্যে চার জন মারা গিয়েছেন। এই মুহূর্তে ভর্তি আছে ৭৮ জন। এখন পর্যন্ত ৮০ টি আইসিইউ প্রস্তুত আছে।
তিনি আরো বলেন, যারা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন তারা যেন এখানে না আসে। আসলে নতুন যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের সংকট দেখা দিবে। যারা আইসিইউ সেবা পাচ্ছেন না তারাও আসবেন। কিন্তু সেবা মিলছে এমন কেউ এলে সংকট দেখা দেবে। সবচেয়ে সক্ষম একটি হাসপাতালে পরিণত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, প্রতিদিনই আমাদের কিছু করে জনবল আসছে। একদিকে জনবল আসবে অন্যদিকে বেডগুলো বাড়তে থাকবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর