লাইসেন্স ছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সর্বত্রই চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। রড, সিমেন্ট, কোকারিজ, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানে প্রকাশ্য এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছাড়াই সারি সারি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার দোকানে সাজিয়ে রেখেছে অবৈধ এলপি গ্যাস ব্যবসায়ীরা। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এসব গ্যাস ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স তো দূরের কথা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও নেই।
উপজেলার ৩০টি হাট-বাজারের প্রায় সব ক’টি বাজারেই কমবেশি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি রাস্তার পাশের ছোট ছোট দোকানগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে। জানা গেছে, সরকারি নিয়ম অনুসারে ৮টির কম গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে তার লাইসেন্স প্রয়োজন হবে না। এমন আইনের সুযোগেই এ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ব্যবসায়ীরা লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
লাইসেন্স ছাড়া ৮টি সিলিন্ডার মজবুত রাখতে হলেও অধিকতর নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানছেন না সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এসব এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনগত বাধ্যবাধকতা বিষয়ে কোনো ধরনের ধারণা নেই। এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের বিভিন্ন কোম্পানির ডিলাররা নেপথ্যে সাহস জোগাচ্ছে খুচরা ব্যাবসায়ীদের।
কোনো কোনো ব্যবসায়ী লাইসেন্সের আবেদন করে লাইসেন্স পাওয়ার অপেক্ষা না করেই ব্যবসা শুরু করে দিয়েছেন। এসব দাহ্য পদার্থ যেকোনো সময়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল জানান, একটি গ্যাস সিলিন্ডারই একটি বোমা মনে করতে হবে। তিনি আরো বলেন, অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন ২০০৩ এর ৪ ধারা মোতাবেক সরকার ঘোষিত ফায়ার সার্ভিসের কোন জ্বালানি নিয়ে কেউ ব্যবসা করলে (মজবুত প্রসেসিং প্রতিক্রিয়াকরূণ অ্যাক্ট) তাকে বিধান অনুযায়ী ফায়ার লাইসেন্স করতে হবে। অন্যথায় ওই আইনের ১৭ ও ১৮ ধারা মোতাবেক ৩ বছরের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড এবং দোকান বা স্থানের মালামাল বাজেয়াপ্ত করতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। লকডাউন শেষে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।