বাংলারজমিন
রূপগঞ্জে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং
স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে
২০২১-০৪-২২
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। উপজেলার ভূলতা, চনপাড়া, দাউদপুর, কাঞ্চনসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে তাদের সংঘবদ্ধ বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্যরা ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা-সেবনসহ চাঁদাবাজির ঘটনায় যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। এমনকি আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। মিছিল মিটিংয়ে লোক জড়ো করতে পারায় তাদের মিলছে রাজনৈতিক আশ্রয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার দু’টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের সর্বত্রই বিচরণ এই কিশোর গ্যাং সদস্যদের। এদের বয়স ১৬ থেকে ২৫ এর মধ্যে। এই বাহিনীর খপ্পরে পড়ছেন অনেক এলাকার মানুষ। মহাসড়কে ছিনতাই ডাকাতির নেতৃত্বও দিচ্ছে সংঘবদ্ধ এই অপরাধীরা। উপজেলার সাংগঠনিক ইউনিয়ন চনপাড়া বস্তিতে এই বাহিনীর বিচরণ সবচেয়ে বেশি। জানা যায়, চনপাড়া বস্তির ৩নং ওয়ার্ডের আলী মর্তুজার ছেলে শাওন (২০) এর রয়েছে একটি বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যরা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, নারী ধর্ষণসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা করে বেড়াচ্ছে না। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা শতাধিক। তাদের হাতে ইতিমধ্যে খুন হয়েছে প্রজন্ম লীগ নেতা মনির হোসেন, রং মিস্ত্রি লিটন, আওয়ামী লীগ নেত্রী বিউটি আক্তার কুট্টি। কিশোর গ্যাং লিডার শাওনের নামে রূপগঞ্জ, ভৈবরসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে ১৩টি। বর্তমানে শাওন জেল হাজতে রয়েছে। এছাড়া ভুলতা মাঝিপাড়া এলাকার মামুন মিয়ার ছেলে বায়োজিদ (২২) গড়ে তুলেছেন একটি কিশোর গ্যাং। তার বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৭০ জন। তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ভাঙচুর, লুটপাট, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ বাধা দিতে গেলেই হামলার শিকার হতে হয়। গত ১৬ই এপ্রিল বায়েজিদের নেতৃত্বে মাঝিপাড়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করা হয়। পরে শাহজাহানের স্ত্রী মহিতুন বেগম ও তার পুত্রবধূ মোর্শেদা আক্তারকে এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করে। গত ১৮ই এপ্রিল বায়েজিদ বাহিনী একই এলাকার রাশিদুল হকের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। তার ছেলে রিশাদ হোসেন তাদের বাধা দিতে আসলে তাকেও এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে। এছাড়া আবুল কালাম মোল্লার বাড়ির নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। ভুলতা এলাকায় তার পরেই রয়েছে খসরু বাহিনী। এছাড়া গোলাকান্দাইলে আরিফ বাহিনী, তারাবোতে মনির বাহিনী, দাউদপুরে হিমেল বাহিনীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশত কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান ঘটেছে। মিছিল সমাবেশে লোক সমাগম ঘটাতে পারে বলে এদের জোটে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়।
এসব ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) জসীম উদ্দিন বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে আমাদের আলাদা মনিটরিং না থাকলেও আমরা যেকোনো অপরাধের কারণে অপরাধীদের ছাড় দিচ্ছি না। যাদের নাম বললেন তাদের সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অনেকে আছেন জেল হাজতে। তাদের নিয়ন্ত্রণে ভবিষ্যতে আরো সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার দু’টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের সর্বত্রই বিচরণ এই কিশোর গ্যাং সদস্যদের। এদের বয়স ১৬ থেকে ২৫ এর মধ্যে। এই বাহিনীর খপ্পরে পড়ছেন অনেক এলাকার মানুষ। মহাসড়কে ছিনতাই ডাকাতির নেতৃত্বও দিচ্ছে সংঘবদ্ধ এই অপরাধীরা। উপজেলার সাংগঠনিক ইউনিয়ন চনপাড়া বস্তিতে এই বাহিনীর বিচরণ সবচেয়ে বেশি। জানা যায়, চনপাড়া বস্তির ৩নং ওয়ার্ডের আলী মর্তুজার ছেলে শাওন (২০) এর রয়েছে একটি বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যরা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, নারী ধর্ষণসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা করে বেড়াচ্ছে না। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা শতাধিক। তাদের হাতে ইতিমধ্যে খুন হয়েছে প্রজন্ম লীগ নেতা মনির হোসেন, রং মিস্ত্রি লিটন, আওয়ামী লীগ নেত্রী বিউটি আক্তার কুট্টি। কিশোর গ্যাং লিডার শাওনের নামে রূপগঞ্জ, ভৈবরসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে ১৩টি। বর্তমানে শাওন জেল হাজতে রয়েছে। এছাড়া ভুলতা মাঝিপাড়া এলাকার মামুন মিয়ার ছেলে বায়োজিদ (২২) গড়ে তুলেছেন একটি কিশোর গ্যাং। তার বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৭০ জন। তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ভাঙচুর, লুটপাট, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ বাধা দিতে গেলেই হামলার শিকার হতে হয়। গত ১৬ই এপ্রিল বায়েজিদের নেতৃত্বে মাঝিপাড়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করা হয়। পরে শাহজাহানের স্ত্রী মহিতুন বেগম ও তার পুত্রবধূ মোর্শেদা আক্তারকে এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করে। গত ১৮ই এপ্রিল বায়েজিদ বাহিনী একই এলাকার রাশিদুল হকের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। তার ছেলে রিশাদ হোসেন তাদের বাধা দিতে আসলে তাকেও এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে। এছাড়া আবুল কালাম মোল্লার বাড়ির নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। ভুলতা এলাকায় তার পরেই রয়েছে খসরু বাহিনী। এছাড়া গোলাকান্দাইলে আরিফ বাহিনী, তারাবোতে মনির বাহিনী, দাউদপুরে হিমেল বাহিনীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশত কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান ঘটেছে। মিছিল সমাবেশে লোক সমাগম ঘটাতে পারে বলে এদের জোটে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়।
এসব ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) জসীম উদ্দিন বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে আমাদের আলাদা মনিটরিং না থাকলেও আমরা যেকোনো অপরাধের কারণে অপরাধীদের ছাড় দিচ্ছি না। যাদের নাম বললেন তাদের সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অনেকে আছেন জেল হাজতে। তাদের নিয়ন্ত্রণে ভবিষ্যতে আরো সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।