× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যবসায়ী হত্যা / গাইবান্ধায় তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা

বাংলারজমিন

উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
২২ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার

গাইবান্ধায় অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ পুনরায় দাদন ব্যবসায়ী অপহরণকারীর হাতে তুলে দিয়েছে।  তারপর দাদন ব্যবসায়ীর বাড়িতে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মজিবর রহমান ও এসআই মোশাররফকে দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানকে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ৫ই মার্চ জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীকে অপহরণ করে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সমপাদক কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানা। এরপর তাকে উদ্ধারের দাবিতে হাসানের স্ত্রী বীথি বেগম থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই দাদন সন্ত্রাসী মাসুদ রানার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। তারপর রহস্যজনক কারণে অপহৃত ব্যবসায়ী হাসান আলীকে আবারও অপহরণকারী দাদন সন্ত্রাসী মাসুদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়  পুলিশ।
প্রায় একমাস ওই দাদন সন্ত্রাসী মাসুদের বাড়িতে আটক অবস্থায় থাকার পর গত ১০ই এপ্রিল মাসুদের বাড়ির টয়লেট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ব্যবসায়ী হাসান আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর আগে মোবাইল থেকে ক্ষুদে বার্তায় হাসান আলী স্বজনদের জানান, মাসুদ রানা তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে তার কাছ থেকে মিথ্যা অঙ্গীকার নেয়। এই ক্ষুদে বার্তা পেয়ে ওইদিনই দাদন সন্ত্রাসী মাসুদ রানাকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১১ই এপ্রিল রোববার আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে মাসুদ রানাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বীথি বেগম বাদী হয়ে দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানা এবং পাদুকা ব্যবসায়ী রুমেন হক ও খলিলুর রহমান বাবুকে আসামি করে সদর থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চারদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ১১ই এপ্রিল পুলিশ সুপার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রাপ্তির পর অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মজিবর রহমান ও এসআই মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। এবং ওসি মাহফুজুর রহমানকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর