× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শান্তর সেঞ্চুরি, ঝলমলে দিন বাংলাদেশের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার

‘টেস্ট খেলাটাই এ রকম। আমার কাছে মনে হয় যে যত ধৈর্য্য নিয়ে, সময় নিয়ে ব্যাটিং বা বোলিং করবে, সফল হওয়ার সম্ভাবনা ওই টিমেরই বেশি থাকবে।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট শুরুর আগে এমনটাই বলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। একাদশে জায়গা হবে কিনা নিশ্চিত ছিল না এই তরুণের। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চার ইনিংসে ব্যর্থতার পরেও তার ওপর আস্থা রাখে দল। নিজের কথার সঙ্গে কাজের পরিচয় দিয়ে তিনি রেখেছেন আস্থার মানও। দারুণ ব্যাটিংয়ে শান্ত তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। গতকাল দিন শেষে ২৮৮ বলের ধৈর্য্যশীল ইনিংসে ১৪ চার ও ১ ছয়ে ১২৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।  প্রথম সেশনে শূন্য রানে আউট হন ওপেনার সাইফ হাসান। এরপর শান্ত এসে হাল ধরেন তামিম ইকবালের সঙ্গে।
দু’জনের জুটিতে আসে ১৩৪ রান। ২০০৯ সালের পর দেশের বাইরে দ্বিতীয় উইকেটে এটিই প্রথম শতরানের জুটি। এখানেই শেষ নয়, তামিম আউট হলে অধিনায়ক মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান শান্ত। প্রথম দিন শেষে তারা দু’জন অপরাজিত থাকেন কাঁটায় কাঁটায় ১৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ পৌঁছে ৩০২/২-এ। টেস্টে হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলের জন্য এটিকে স্বপ্নের দিন বললেও ভুল হবে না।  
করোনা মহামারির কারণে ১১ মাস টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশ দলের। অবশেষে এ বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে ফেরে টাইগাররা। কিন্তু নিজেদের মাটিতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হয় হোয়াইটওয়াশ। সবমিলিয়ে নয়া অধিনায়ক মুমিনুলের নেতৃত্বে ৬ টেস্টের পাঁচটিতে হার। এরমধ্যে টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের মিশনে নিজেদের নামের পাশে ১ পয়েন্টও যুক্ত করতে পারেনি টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের এই সিরিজে পয়েন্ট যোগ করার শেষ সুযোগ। সঙ্গে ঘুরে দাঁড়ানোরও। এমন সিরিজে প্রথম টেস্টে শুরুটা দারুণ করেছে বাংলাদেশ।
২১ সদস্যের প্রথমিক দল নিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যায় বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের আগের দিন ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেন নির্বাচকরা। তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে একাদশে কে জায়গা পাবেন তা নিয়ে খুব একটা জল্পনা-কল্পনা ছিল না। সাদমান ইসলামেরই ওপেন করার কথা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফর্মে থাকা সাইফ হাসানকেই সুযোগ করে দেয় দল। কিন্তু এই তরুণ এবারো নিজের প্রতিভার প্রমাণ রাখতে ব্যর্থ। দ্বিতীয় ওভারে সাইফ হাসানকে শূন্য রানে ফেরান বিশ্ব ফার্নান্দো। দল চাপে পড়ে। তবে শুরু থেকেই ঝড়ো মুডে থাকা তামিম সেই চাপকে উড়িয়ে দেন দারুণভাবে। বিশ্ব’র এক ওভারেই মারেন তিন বাউন্ডারি। অন্যদিকে একাদশে জায়গা পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকলেও শান্তর ওপর আস্থা রাখেন কোচ ও অধিনায়ক। ব্যাট হাতে নেমে শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন আত্মবিশ্বাসী। ব্যাটে ঝড় তোলা তামিমের সঙ্গে ধীরে সুস্থে খেলে গড়ে তোলেন ১৩৪ রানের জুটি। এরইমধ্যে ৫৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তামিম। সেখান থেকে ৯০ রানে পৌঁছান। কিন্তু আবারো একটি সেঞ্চুরির অপমৃত্যু। বাজে এক শটে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১০১ বলে ৯০ রান করে তামিম ফিরে যান সাজঘরে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার নার্ভাস নাইনটিজে আউট হলেন দেশসেরা ওপেনার।
এরপর অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যান শান্ত। অবশ্য ব্যক্তিগত ২৮ রানে ক্যাচ দিয়ে বাঁচেন শান্ত। তবে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ক্যাচ নিতে পারেননি কিপার নিরোশান ডিকভেলা। তবে জীবন পেয়ে আরো সাবধানী হয়ে ওঠেন। ৯০ থেকে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে খেলেন ৩৮ বল। ধনাঞ্জয়ার বলে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে ২৩৫ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।  তামিমের বিদায়ের পর মুমিনুলও দারুণ জুটি গড়ে তোলেন শান্তর সঙ্গে। শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। দিনশেষে তিনি অপরাজিত ৬৪ রানে। দু’জন ১৫০ রানের অপরাজিত জুটি গড়েছেন। আজ দ্বিতীয় দিন বিদেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরির আক্ষেপ মেটাতে মাঠে নামবেন টাইগার অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ের এই ছন্দ দ্বিতীয় দিন ধরে রাখতে পারলে স্কোর বোর্ডে রানের পাহাড় হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সফল শুধু বিশ্ব ফার্নান্দো। ১৭ ওভারে ৬১ রান খরচ করে তিনি নিয়েছেন দুটি উইকেট। বাকি পাঁচ বোলার থেকেছেন উইকেটশূন্য।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর