বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কুমিল্লা থেকে বান্দরবানের লামা উপজেলায় এক কোরআনের হাফেজকে নিয়ে জিম্মি করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কিন্তু দাবিকৃত টাকা না পেয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে। খুনিরা হত্যার ঘটনাটি লুকাতে মাটি চাপা দেয়ার ২৫ দিন পর নিহত হাফেজ মো. অলিউল্লাহ স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করে লামা থানা পুলিশ। এই হত্যার ঘটনা ঘটে বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শিং ঝিরি এলাকায়। এ ঘটনায় লামা থানা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেতঝিরি হতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল দুই আসামি ফয়েজ আহমদ (৩৮) ও মো. আরিফুল ইসলাম (১৭)কে আটক করে। আটক আসামিদের দেয়া তথ্যমতে বুধবার রাত ২টায় হাফেজ স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
খুন হওয়া হাফেজ মো. অলিউল্লাহ স্বাধীন (১৭) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মো. মোবারক হোসেন ও লুৎফা বেগমের ছেলে। খুনের ঘটনায় আটক দুই আসামি হলো- কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার খারাতাইয়া গ্রামের আব্দুল মালেক এর ছেলে মো. ফয়েজ আহমদ (৩৮) ও নিহতের আপন ফুফাতো ভাই কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মৃত মো. আব্দুল গণি খাঁ এর ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (১৭)।
নিহতের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল (২৪) বলেন, গত ২২শে মার্চ ছোট ভাই হাফেজ স্বাধীন তার ফুফাতো ভাই মো. আরিফুল ইসলাম এর সঙ্গে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কয়েকদিন ধরে ছোট ভাইয়ের কোনো খোঁজ খবর না পেয়ে ২৪শে মার্চ কুমিল্লার বুড়িচং থানায় হারানোর জিডি করে। জিডি’র সূত্র ধরে তার মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে মঙ্গলবার লামা থানায় আসি। আমাদের দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লামা থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি ফয়েজ আহমদ ও আরিফুল ইসলামকে সন্দেহভাজন হিসেবে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেতঝিরি ফয়েজ আহমদের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাদের আটক করে। ফয়েজ আহমদ বেতঝিরি এলাকার ইউনুছ মোল্লার মেয়ের জামাই।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিহতের পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দীর্ঘদিন হওয়ায় লাশ অনেকাংশ পচে গলে গেছে। তিনি আরো বলেন, এই বিষয়ে নিহতের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল বাদী হয়ে হত্যা ও অপহরণের অভিযোগ এনে লামা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শিগগিরই আটক দুই আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।