রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ঘটনার এক সপ্তাহ আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে হেফাজতের বর্তমান আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর গোপন বৈঠকের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই সংবাদকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলামের পক্ষে এই প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে। যেখানে মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বকে কলঙ্কিত করতে মুফতি ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে পুলিশ মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়েছে। এই স্বীকারোক্তি একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেমের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। দেশবাসী এমন মিথ্যা স্বীকারোক্তি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, হেফাজত আমীরের কাছ থেকে আমি জেনেছি- ২০১৩ সালে রিমান্ডে পুলিশকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাবুনগরীর কোনো দিন সামনা-সামনি দেখা পর্যন্ত হয়নি। অথচ মুঈনুদ্দীন রুহি ও ফখরুল ইসলাম এ বিষয়ে মিথ্যাচার করেছেন। তারা এই দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারবে না।
মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে আলেম-ওলামার ওপর পুরনো মিথ্যা মামলা সচল করে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।
গুটিকয়েক নীতি-আদর্শচ্যুত সাবেক নেতাকে এতে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অথচ ২০১৩ সাল বেশিদিন আগের ঘটনা নয়। এখনো ইন্টারনেটে সার্চ দিলে সহজেই জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তখনকার সংবাদে খুঁজে পাওয়া যাবে, সে সময় কোন্ নেতার কী ভূমিকা ছিল।
প্রতিবাদলিপিতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আলেম-ওলামাদের ওপর দমন-পীড়ন, মিথ্যা মামলা এবং অপবাদ বন্ধের দাবি জানান মাওলানা তাজুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, হেফাজতের তৎকালীন ঢাকা মহানগর প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, ৫ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে যাওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন হেফাজতের তৎকালীন মহাসচিব ও বর্তমান আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী।