× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাকুন্দিয়ায় হলুদ তরমুজ চাষে সাফল্য

বাংলারজমিন

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৩ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ রংয়ের তরমুজ চাষ করে চমক লাগিয়েছেন ইসমাইল হোসেন নামের এক যুবক। কীটনাশক ব্যবহার না করায় এটি সম্পূর্ণ বিষমুক্ত। খেতে সুস্বাদু এ তরমুজের বাইরের অংশ হলুদ হলেও ভেতরে টকটকে লাল। নতুন জাতের এ তরমুজ দেখতে উৎসুক লোকজন ভিড় করছেন। জানা গেছে, উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের দাওরাইট গ্রামের ছবির উদ্দিনের ছেলে পড়ালেখা শেষ করে বেকার ছিলেন। করোনার এ পরিস্থিতিতে বসে না থেকে সে আঙিয়াদী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগের পরামর্শে তার পৈত্রিক ২৫ শতক জমিতে হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষাবাদ শুরু করেন। প্রথমবারেই বেশ ফলন হয়েছে।
ওই জমিতে তার ৪শ’র মতো গাছ রয়েছে। যার প্রতিটিতে ৪-৫টি করে তরমুজ এসেছে।  উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যেই ওই বেকার যুবককে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষাবাদ করে তিনি সফলতাও পেয়েছেন। জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে ফেরোমেন ও ইয়েলো ট্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে ফসল রক্ষা পেয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত এ তরমুজ খেতে মিষ্টি। গতকাল সকালে সরজমিন দাওরাইট গ্রামের ইসমাইল হোসেন এর জমিতে গিয়ে দেখা গেছে, জমির চারপাশে নেট দিয়ে বেড়া দেয়া হয়েছে। মাচা পদ্ধতিতে হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। প্রতিটি মাচা নেট দ্বারা আবৃত। পোকা-মাকড় আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য মাচার মাঝখান দিয়ে ফেরোমেন ও ইয়েলো ট্যাপ লাগানো। মাচার ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায় শতশত তরমুজ। তরমুজে মাচাগুলো ভরপুর। প্রতিটি গাছে ৪ থেকে ৫টি করে ঝুলে আছে। একেকটি তরমুজ দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের মতো হবে। প্রত্যেকটি নেট দ্বারা আবৃত করে রাখা হয়েছে। তরমুজ চাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, পড়ালেখা শেষ করে বাড়িতেই ছিলাম। বসে না থেকে কিছু একটা করার চিন্তা করি। আমাদের ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগ ভাইয়ের পরামর্শে ২৫শতক জমিতে হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ শুরু করি। এতে আমার সবমিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যে পরিমাণ ফলন হয়েছে তা বিক্রি করে আমি লাভবান  হবো বলে আশা করছি। আঙিয়াদি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগ বলেন, বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে ওই যুবককে পর্যাপ্ত পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে। এতে সে বেকারত্ব মোচন করে আর্থিকভাবে লাভবান হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল হাসান আলামিন বলেন, শিক্ষিত তরুণরা চাষাবাদে এগিয়ে এলে এ সেক্টর আরো সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি বেকারত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে উদ্যোক্তা হবে। এতে ব্যক্তি, সমাজ ও দেশ উপকৃত হবে। ওই যুবকের সাফল্য দেখে অন্যরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এতে আগামীতে এ উপজেলায় হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ আরো বাড়বে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর