চরফ্যাশনে নীলকমলের আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন। গত ২৩শে মার্চ চেয়ারম্যান তার দলবল নিয়ে দখলের চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষের ভোগদখলীয় মালিক স্কুল শিক্ষক মাও. সুলতান আহমেদ বাধা দেয়। এ সময় সুলতান আহমেদকে হুমকি দেয় তারা। ওইদিন সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে এ বিষয়ে দুলারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেও তারা ওই জমি দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একই ভাবে ৮ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার ওই জমি দখলের চেষ্টা করলে সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ রাখে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চর যমুনা মৌজার এস এ খতিয়ানে ৬৯ শতাংশ জমির মধ্যে ৬০ শতাংশ জমি ২০০৮ সালে সুলতান আহম্মেদ নীতিমালায় বন্দোবস্ত নেয়। জমিটির খতিয়ান খুলে খাজনা পরিশোধ করে আসছেন তিনি।
শুধু তাই নয় ওই জমির পিছনে সুলতান আহমেদের ক্রয়কৃত জমিতে বসতবাড়ি তৈরি করে দীর্ঘ বছর ভোগ দখলে আছে। ওই জমি দিয়েই বাড়িতে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা তার। সমপ্রতি নীলকমল সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিখন ওই রাস্তা বন্ধের পাঁয়তারা করছে। তাই চেয়ারম্যান তার বৃদ্ধ মা মাসুমা খানম এর নামে সুলতান আহমেদের ২০০৮ সালের বন্দোবস্তিয় জমিসহ মোট ৯৯ শতাংশ জমি ২০১৫ সালে বন্দোবস্ত নেয়। তৎকালীন সময়ে তার মা মাসুমা খানমের মৃত্যু হলে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন ও তার অপর দুই ভাইয়ের নামে খতিয়ান খুলে নেয়। সুলতান আহমেদ বিষয়টি সংশোধনের লক্ষে ২০১৫ সালের ভূমি বন্দোবস্ত বাতিল চেয়ে রেকর্ড সংশোধনের জন্য চরফ্যাশন যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে দেওয়ানি মামলা রুজু করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে উক্ত জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপরও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ২৩শে মার্চ ও ৮ই এপ্রিল সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিখন তার দলবল নিয়ে সুলতান আহমেদের দখলীয় পুকুরে পানি দিয়ে তা দখলে নিতে চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন জানান, ২০১৫ সালে দিয়ারা খতিয়ান দিয়ে আমার মায়ের নামে বন্দোবস্ত নিয়েছি। মায়ের মৃত্যুতে আমিসহ অপর দুই ভাইয়ের নামে খতিয়ান খুলেছি। আর সুলতান আহম্মেদ এস এ খতিয়ান দিয়ে ২০০৮ সালে বন্দোবস্ত নিয়েছে। সে আদালতে মামলা করছে সত্য। মামলার রায় পেলে আমি জমি ছেড়ে দেবো। দুলারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোরাদ হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।