রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গৃহবধূ সুলতানা বেগম গত চার বছর আগে সন্তান প্রসব করার সময় হাসপাতালে মারা যান। কিন্তু মৃত্যুর এতদিন পরও স্বামী মাহাবুল হক স্ত্রীর নামে ভিজিডির (দুস্থদের উন্নয়নের বরাদ্দ) তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানতে পেয়ে হতভম্ব হয়েছেন। প্রতি মাসের ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করা হচ্ছে তার মৃত স্ত্রীর নামে। কে বা কারা ভিজিডির প্রতি মাসের চাল উত্তোলন করছেন তা জানেন না মাহাবুল হক। এ ঘটনায় তিনি গত মঙ্গলবার বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কিসামত বসন্তপুর গ্রামে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত সুলতানার ভিজিডির নতুন তালিকায় ক্রমিক নম্বর ৩৫। গত এক সপ্তাহ আগে মাহাবুল হক ভিজিডির তালিকায় তার স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার খবর জানতে পেয়ে অবাক হন।
গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফুলবাবু বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিজিডি পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেন। পরে ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি যাচাই-বাছাই করে উপজেলা কমিটির কাছে জমা দিলে সেখানে চূড়ান্ত করা হয়। এখন মৃত ব্যক্তির নাম কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হলো তা আমার জানা নেই। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে ভিজিডির তালিকাভুক্ত হতে হলে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। ভিজিডির যোগ্য শুধুমাত্র বিধবারা। কীভাবে মৃত ব্যক্তির নাম অনলাইনে তালিকাভুক্ত হলো তা তদন্ত করে বাতিল করা হবে। ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা বেগমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।