× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩০) /‘সে নিজেও মইন ইউ আহমেদের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছে’

বই থেকে নেয়া

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার

শনিবার ২৩ জুন ২০০৭ দিন ৭২
আমার ৩০ বছরের ব্যক্তিগত সহকারী শহীদের নগ্ন শরীরে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে অমানবিক নির্যাতন চালানোর সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা তাকে শুধু আমার বা হাসনার কথাই জিজ্ঞেস করেনি, একই রকমে তারা আনা ও আমান অর্থাৎ আমার সন্তানদের ব্যাপারেও তাদের নোংরা ঔৎসুক্য দেখিয়েছিল। আমাকে গ্রেপ্তার করার দু’দিন পর আমান তার ছুটি শেষে অক্সফোর্ডের স্পেশাল এডুকেশনের স্কুলে চলে যাচ্ছিল। এ সময় এয়ারপোর্টে তাকে দীর্ঘক্ষণ আটক রেখে সেই প্রতিবন্ধী ছেলেটিকেও নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। আমান কোনো স্বাভাবিক মানুষ নয়, প্রতিবন্ধী হিসেবে তার স্বাভাবিক মানবিক চেতনা বা উপলব্ধিবোধের অভাব রয়েছে। তার পৃথিবীর পরিধি অত্যন্ত ক্ষুদ্র এবং সে বাস করে একরকমভাবে তার নিজস্ব স্বল্পবৃত্তের জগতে। সে কি অপরাধ করে থাকতে পারে? তার প্রতি কেন ওদের এই অহেতুক বিরাগ?
তারা শহীদকে নির্দেশ দিয়েছে যে, প্রত্যেকবার বাংলাদেশে আসার পর আমানকে নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করতে হবে। কেন? সে তো জন্মগতভাবে বাংলাদেশের একজন নাগরিক। এই ঘটনার পর আমরা বাৎসরিক ছুটিগুলোর সময় আমানকে দেশে না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যদিও দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে আমানের থাকে বিপুল আগ্রহ।
ওকে ছাড়া জোরাহর দিন কীভাবে কাটবে? আমার মুক্তি পেতে বছরের পর বছর লেগে গেলে ওদের ভবিষ্যৎ কী হবে?
আমি একসময় আমার এই ক্ষুদ্র ঘরটিতে পরিবারের একটি ফটো রাখার কথা চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু পরে সেই চিন্তা আমি বাদ দেই। বিশেষ করে আমানের কথা মনে করেই শেষ পর্যন্ত আমি তা করিনি। কারণ, প্রতিদিন আমানের সেই নিষ্পাপ চেহারার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আমি বোধহয় খুব বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারবো না। এতে বরং আমার বিষণ্নতাবোধ আরো বেড়ে যাবে। বরং আমার প্রিয় মানুষগুলোর কথা যথাসম্ভব মনে না করার চেষ্টাই হবে আমার জন্য উত্তম।
আসমা এসে বলে গেছে যে, হাসনা ভীষণ রকমের অর্থকষ্টের ভেতর দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। আমি আসমাকে বলেছি, বেঁচে থাকার স্বার্থে, যত রকমের নিগ্রহের শিকারই হোক না কেন, যে কোনো উৎস থেকে টাকা-পয়সা ধার করে তারা যেন টিকে থাকার চেষ্টা করে।

রবিবার ২৪ জুন ২০০৭ দিন ৭৩
কোর্টে হাজিরা দিলাম। মামলা মুলতবি করা হয়েছে ২৮ জুন পর্যন্ত। দুই নেত্রী এবং দেশের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলতে সরকার মনে হচ্ছে বদ্ধপরিকর। সংস্কারের নামে, দলীয় কাঠামোর গণতন্ত্রায়ণের নামে এবং প্রাথমিকভাবে দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার। রাজনৈতিক দলগুলাের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিয়েছে। জেনারেল মইনের। পক্ষে তার দুরভিসন্ধি চরিতার্থকরণের লক্ষ্য নিয়ে কতিপয় ব্রিগেডিয়ার, দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের কয়েকজন সিনিয়র রাজনীতিবিদকে ইতিমধ্যেই তাদের কর্মপন্থা বাস্তবায়নের কাজে প্রলুব্ধ করেছে। কিন্তু হাসিনা ও খালেদার সমর্থন অর্জন না করতে পারলে কোনো রাজনৈতিক দলেই কোনোরকমের সংস্কার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। তাদের সমর্থন ছাড়া একটি দলের খ-িতাংশ কিংবা ব্যক্তি বিশেষ কীভাবে জনগণের ভোট অর্জন করতে পারবে? এই দুই নেত্রী বাদে এই দুই দলের কোনো নেতারই জাতীয় পর্যায়ে ম্যাজিক করার মতো কোনো ক্যারিশমা নেই বা তৃণমূল পর্যায়ে বৃহত্তর জনগণের সমর্থন তারা অর্জন করতে সক্ষম হবে না। কাজেই কেবলমাত্র সরকারের সন্তুষ্টির জন্য চাপিয়ে দেওয়া সংস্কার বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই ।

সোমবার ২৫ জুন ২০০৭ দিন ৭৪
গত ১১ বছর ধরে বিএনপি’র মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া দলের পক্ষ থেকে একটি ১৫ দফাবিশিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করেছে। এই সংস্কার প্রস্তাবের সারমর্ম হলো, কোনো ব্যক্তি চেয়ারপার্সন এবং প্রধানমন্ত্রীর পদে দু’বারের বেশি অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না, একই ব্যক্তি একসঙ্গে দু’টি পদ আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবেন না এবং চেয়ারপার্সনের মেয়াদ হবে সর্বাধিক তিন বছর। এই প্রস্তাব কাউন্সিলে অনুমোদিত হলে ভূতাপেক্ষভাবে তা কার্যকর করা হবে অর্থাৎ বেগম জিয়া আর দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকতে পারবেন না এবং তিনি পুনর্বার প্রধানমন্ত্রী হবারও সুযোগ হারাবেন।
নীতিগতভাবে হয়তো একজন এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানাতে পারে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা অন্যত্র। দলের মূলধারায় যে কোনো সংস্কার আনতে হলে তাতে খালেদা জিয়ার সমর্থন ও সম্মতি থাকতে হবে এবং তা না থাকলে কোনো সংস্কার প্রস্তাবই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। প্রশ্ন হলো, তিনি কি তাতে সম্মতি দেবেন? এর উত্তর হলো, না। আমরা কেবল আশা করতে পারি যে, একদিন খালেদা ও হাসিনা নিজেদের উদ্যোগেই এ ধরনের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আসবেন।
দ্বিতীয়ত, মান্নান ভূঁইয়া এবং তার সমর্থকরা কোনো সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এ সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন করেনি কিংবা তারা কোনো আন্তরিকতার বশবর্তী হয়েও তা করেনি। যদি করতো, তাহলে গত ১১ বছরে কেন তা নিয়ে সে কোনো উচ্চবাচ্য করেনি? কাজেই এর পেছনে গূঢ় রহস্য দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। এ ছিল ক্ষমতার অংশীদারিত্বের জন্য একটি ভ্রান্ত পদক্ষেপ। খালেদা জিয়ার বিশ্বাসের মূলে সে আঘাত হেনেছে এবং শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে যে, সে নিজেও মইন ইউ আহমেদের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছে।

মঙ্গলবার ২৬ জুন ২০০৭ দিন ৭৫
সংবাদপত্রে খবর বের হয়েছে যে, দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির অভিযোগে কমিশনের দায়েরকৃত মামলাসমূহ নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে আদালতে অভিযুক্তদের বিপক্ষে। এবং কমিশনের পক্ষে মামলা চালানোর জন্য ৮৪ জন আইনজীবীর একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে। ড. কামাল হোসেনসহ দেশে প্রায় প্রত্যেকটি সিনিয়র আইনজীবীকে সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ হলো সভ্য জগতে বিরল একটি অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অভদ্রোচিত এক বর্বর পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের নিজেদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে যোগ্য আইনজীবী পাওয়ার সুযোগ রহিত করা যা আত্মপক্ষ সমর্থনের সহজাত যা এই সরকারের এক সুসংগঠিত দুরভিসন্ধিরই প্রতিফলন। এ আইনজীবীরাও তাদের পেশার নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে। দুর্নীতির অভিযোগে কেবলমাত্র সরকারের অপছন্দনীয় রাজনীতিবিদদের আইনি সহায়তা দিতে বিরত থাকবেন। ২৫শে জুন প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম এবং রোকনউদ্দিন মাহমুদকে নিয়ে দুদক ১৩ সদস্যের একটা উপদেষ্টা পরিষদও গঠন করেছে। কাজেই নির্দ্বিধায় বলা চলে কমিশনের এ ধরনের কার্যকলাপকেই একটি চরম দুর্নীতি হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় ।
বুধবার ২৭ জুন ২০০৭ দিন ৭৬
সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। নেতৃত্ববিহীন অবস্থায় একটি রাষ্ট্র কতদিন চলতে পারে? মঈনুল হোসেন, জেনারেল (অবঃ) মতিন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতো কিছুসংখ্যক সরকারি উচ্চপদস্থ লোকের বক্তৃতা-বিবৃতির কোনো শেষ নেই। কিন্তু তারা প্রায়ই কথা বলছেন কেমন যেন একটা দিক-নির্দেশনাবিহীন অবস্থায়। অনেক সময়ে স্ববিরোধিতায় ভরা। একদিকে তারা ঘরোয়া রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কাউকে হাসিনা ও খালেদার সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না, আবার অন্যদিকে মান্নান ভূঁইয়া, ফেরদৌস কোরেশী ও রওশন এরশাদকে শুধু বৈঠকের আয়োজনই করতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রায় প্রতিদিনই প্রচার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ২৮ জুন ২০০৭ দিন ৭৭
শরীরে কিছুটা অসুস্থবোধ করায় আজ কোর্টে যেতে পারিনি। মামলা মুলতবি করা হয়েছে ২রা জুলাই অবধি।
আমার সেলসঙ্গী শেখ সেলিমের মা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠতম বোন ৮৯ বছর বয়সে ইন্তেকাল করলেন। পরিবারটিকে আমি খুব ভালোভাবে চিনি। আওয়ামী লীগে অন্যদের মধ্যে তার সাথে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মায়ের মৃত্যুতে সঙ্গত কারণেই সেলিমকে অনেকটা মুষড়ে পড়তে দেখেছি।
রেডিওতে শুনলাম যে, দুর্নীতি দমন কমিশন আমাকে আমার সম্পদের বিবরণী দাখিল করার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে। তারা জানে যে, অ্যালকোহলের মামলায় তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। তাই জেল থেকে আমার মুক্তি স্থগিত রাখার নতুন একটা কৌশল নিয়েছে ওরা। আমার কাছে তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল।
প্রিজন ভ্যানে চলার সময় আমি প্রায়ই ভয় পাই ও এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। অত্যন্ত সরু, অপ্রশস্ত একটা প্রবেশপথ, প্রায়ই সিটবিহীন, ভেজা স্যাঁতসেঁতে অভ্যন্তর ভাগ। কখনো বৃষ্টির পানিতে স্নাত, নোংরা, চারদিকে বদ্ধ প্রকোষ্ঠে একপাশে একচিলতে গরাদবিশিষ্ট এই ক্ষুদ্রায়তন কয়েদখানায় একমাত্র ড্রাইভারের করুণার ওপর নির্ভর করে নিয়ে যাওয়া হয় বন্দিকে- সঙ্গী থাকে কেবল বিরসমুখে দরজায় দাঁড়ানো দু’-একজন নিরাপত্তা পুলিশ প্রহরী। ভ্যান থেকে আমাদের নামানোর জন্য ড্রাইভারকে গাড়ি থামিয়ে, গাড়ি থেকে নেমে ভ্যানের পেছন দিকে ঘুরে গিয়ে পেছনের ইস্পাতের দরজা ওপরের দিকে ঠেলে খুলতে হয়। কোনো কারণে, রাজনৈতিক কিংবা অন্য কোনো ধরনের দুর্ঘটনাক্রমে প্রথম সুযোগেই ড্রাইভার নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালিয়ে যেতে পারবে সন্দেহ নেই। কিন্তু ভেতরে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ অবস্থায় আমাদের কি দশা হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। দুর্ঘটনা ছাড়াও দুর্বৃত্তদের দ্বারা ভ্যান আক্রান্ত হলেও এমনটা ঘটার আশঙ্কা সবসময়েই রয়েছে। আমাদের মতো বন্দির তখন পালাবার কোনো সুযোগও থাকবে না। কোনো কারণে প্রিজন ভ্যানে আগুন লেগে গেলে আমাদের জীবন্ত দগ্ধ হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে আমার জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছে কে? আমি জেল সংস্কার কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালে বিষয়টি কেউ আমার নজরে আনলে আমি অবশ্যই এর একটা বিহিত ব্যবস্থা করতাম। সুযোগ পেলে আগামীতে আমি তা করবো।

(চলবে..)

আরো পড়ুন-
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৫)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৬)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৭)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৮)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৯) 
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১০)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১১)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১২)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৩)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৪)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৫)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৬)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৭)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৮)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৯)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২০)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২১)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২২)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৩)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৪)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৫)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৬)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৭)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৮)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৯)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর